কোভিড বিধি থোড়াই কেয়ার। নিজস্ব চিত্র
জলেই গেল দূরত্ব বিধি।
কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, জোর দিতে হবে ই-স্নান ও ই-দর্শনের উপরে। পুণ্যার্থীদের জলে নামা থেকে বিরত করতে ঘোষণা করতে হবে মাইকে। তবে আশঙ্কা ছিল, পুণ্যার্থীদের আটাকানো যাবে তো? মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নান এখনও দিন কয়েক বাকি। তবে সোমবার তার সূচনা পর্বে যা দেখা গেল, তাতে আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। এ দিন ভোর থেকেই পিকনিকের মেজাজে স্নান চলছে। পুণ্যার্থী সুমিত্রা বায়েন যেমন কোনও কিছুর বিনিময়ে গঙ্গাস্নানে আপস করতে রাজি নন। সোনারপুরের বাসিন্দা সুমিত্রাকে দেখা গেল, স্নানের পর সৈকতে কাপড় শুকোচ্ছিলেন। তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হল, এ বারে করোনা আবহে আদালত সমুদ্রে নেমে স্নান তো নিষিদ্ধ করেছে। সুমিত্রার জবাব, ‘‘আমি এ সব কিছু জানি না। পুলিশ প্রশাসন আমাকে কিছু বলেনি। যদি ওরা নিষেধ করত তা হলে নিশ্চয়ই স্নান করতে নামতাম না।’’ এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ। কেন আদালতের নির্দেশ মতো আরও সক্রিয় হচ্ছে না প্রশাসন? আদালত লাগাতার প্রচারের কথা বললেও এ দিন অন্তত তা দেখা যায়নি। সাগরের বিডিও সুদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘কিছু মানুষ লুকিয়ে স্নান করেছে। তবে আজ, মঙ্গলবার থেকে ঘটি থেকে জল নিয়ে দর্শনার্থীদের মাথায় ছেটানোর ব্যবস্থা থাকবে। কুড়ি হাজার ঘটি আনা হয়েছে।’’ তবে এর পাশাপাশি বিডিও জানিয়েছেন, আদালত স্নান করা নিষিদ্ধ করেনি। স্নান করতে বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলেছে।
মাইকে প্রচার না থাকলেও অন্য ব্যবস্থার কিন্তু ত্রুটি নেই সাগরে। দূরত্ব বিধি মেনে দর্শনার্থীদের থাকার ব্যবস্থার জন্য অতিরিক্ত তাঁবু তৈরি করা হয়েছে। করোনা উপসর্গ রোগীদের থাকার জন্য ‘সেফ হোম’ রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত ‘রেফার’ করার জন্য ‘এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স’ও মজুত রাখা হয়েছে। গঙ্গাসাগরের ঢোকার আগে বিভিন্ন পয়েন্টে ‘থার্মাল চেকিং’ চলছে। প্রতিটি দর্শনার্থীর মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকি, বিভিন্ন ঘাটে ও পয়েন্টের মুখে সরকারি কর্মীরা মাস্কবিহীন পর্যটক দেখলেই তাঁকে মাস্ক পরার অনুরোধ করছেন। কারও মাস্ক না থাকলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে তা দেওয়া হচ্ছে। সাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা গঙ্গাসাগরগামী সমস্ত গাড়ি স্প্রে করে স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে। এক নম্বর ঘাটে যাত্রীরা ওঠার পর ট্যানেলের সাহায্যে স্যানিটাইজ় করার ব্যবস্থা হয়েছে।
সাগরে মাইকে চলছে প্রচার। মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করুন। তবে ঘোষক একবারও বলছেন না, জলে নেমে স্নান করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy