—প্রতীকী চিত্র।
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা এলাকায় বেআইনি মদ, গাঁজা, হেরোইনের কারবার বাড়ছে— এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। গত কয়েক বছরে এ তল্লাট অনেকটাই শান্ত হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, মদ-গাঁজার কারবারের রমরমায় ফের পরিবেশ নষ্ট হতে শুরু করেছে। বেআইনি কারবারের হাত ধরে আবার এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব ফিরে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এখন সন্ধ্যার পর থেকে পরিবেশ পাল্টে যাচ্ছে। মদ, গাঁজার ঠেক বসছে নিয়মিত। হেরোইন, গাঁজা, মদের নেশায় দূরদূরান্ত থেকে যুবকের দল বাইক নিয়ে এসে পুর এলাকায় জড়ো হচ্ছে। ফোনে অর্ডার দিলেও কারবারিরাও নেশারুদের কাছে মদ, গাঁজা, হেরোইন পৌঁছে দিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, অশোকনগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, কল্যাণগড় বাজার, হরিপুর, কচুয়া লেকপার্ক সংলগ্ন এলাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি মদ-গাঁজার কারবার চলছে। বিরিয়ানির দোকান, মুদির দোকানের আড়ালে গাঁজা, দেশি মদের কারবার চলছে বলেও অভিযোগ। আগে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল, তাদের অনেকেই ইদানীং বেআইনি মদের কারবার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এ সবের পিছনে রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের মদতও রয়েছে বলে দাবি পুরবাসীর একাংশের। পুলিশের কারও কারও সঙ্গেও কারবারিদের সুসম্পর্ক আছে বলে শেনা যায়। অনেকেই জানালেন, হাবড়া-নৈহাটি সড়কে গাড়ি দাঁড় করিয়ে হাত পেতে টাকা সংগ্রহ করতে দেখা যায় পুলিশকে। দিন কয়েক আগে একটি প্রাথমিক স্কুল চত্বর থেকে বাসিন্দারা মদের বোতল উদ্ধার করেছিলেন। অভিভাবকদের বক্তব্য, অল্পবয়সি ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। এ সব বন্ধ করতে পুলিশ উদাসীন বলেই অভিয়োগ এলাকার মানুষের।
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা এলাকার বাসিন্দা তথা প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, “মদ, গাঁজা, হেরোইনের কারবারের ফলে এলাকা অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি। পুর এলাকার পাশাপাশি অশোকনগরের গ্রামীণ এলাকাতেও মদ, গাঁজা, হেরোইনের কারবার ছড়িয়ে পড়েছে। অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন। বেআইনি কারবার বন্ধ করতে পুলিশ-প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।”
পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার অবশ্য বলেন, “মদ, গাঁজা, হেরোইনের কারবারের খবর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। সে রকম কিছু হলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।” বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “মদ, গাঁজা, হেরোইনের মতো বেআইনি কারবারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy