Advertisement
০২ মে ২০২৪
Abhishek Banerjee

TMC: প্রথম তালিকা ধরেও প্রচার ডায়মন্ড হারবারে

পুরসভার বর্তমান চেয়ারপার্সন প্রণব দাস দীর্ঘদিন ধরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর ওয়ার্ডও মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে।

প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জটিলতা ডায়মন্ড হারবারে।

প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জটিলতা ডায়মন্ড হারবারে। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৫২
Share: Save:

দু’বার প্রকাশিত প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জটিলতা তৈরি হয়েছে ডায়মন্ড হারবারে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল ডায়মন্ড হারবার প্রাক্তন টাউন সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজর্ষি দাসের। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দু’বারের কাউন্সিলর তিনি। এ বার ওই ওর্য়াডটি মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। প্রথম তালিকার রাজর্ষিকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্ত দ্বিতীয় তালিকায় তাঁর নাম নেই।

পুরসভার বর্তমান চেয়ারপার্সন প্রণব দাস দীর্ঘদিন ধরে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর ওয়ার্ডও মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে। প্রণবের নাম প্রথম তালিকায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল। তাঁর মেয়ে মৌমিতা দাসের নাম ছিল ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে।

দ্বিতীয় তালিকায় প্রণবকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে। এ দিকে, বাদ পড়েছে তাঁর মেয়ের নাম।

পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথম তালিকায় প্রার্থী ছিলেন পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান মীরা হালদার। দ্বিতীয় তালিকায় তাঁর নাম নেই। সেখানে ডায়মন্ড হারবার টাউন যুব নেতা সৌমেন তরফদারের নাম রয়েছে।

রাজর্ষি বলেন, ‘‘৪ নম্বর ওয়ার্ডটি তৃণমূলের দুর্বল সংগঠন। ওখানে বিধানসভা বা লোকসভা ভোটে ২০০-২৫০ ভোট বিজেপি বেশি পায়। ফলে ওই কঠিন আসনটিতে দাঁড়ানোর জন্য বস (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) আমাকে এক সময়ে বলেছিলেন। আমি তাতে রাজিও হয়েছিলাম। পিকের টিমও এসে বিষয়টি জেনে গিয়েছে। কিন্তু এখন দ্বিতীয় তালিকায় দেখছি আমার নাম নেই। তবে প্রথম তালিকাটি চূড়ান্ত বলেই জানি।’’ সেই মতো প্রচার, দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজর্ষি।

প্রার্থী তালিকা নিয়ে ডায়মন্ড হারবার টাউন তৃণমূলের যুব সভাপতি তথা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী অমিত সাহা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত প্রথম তালিকাটাই চূড়ান্ত।’’ এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপেও উত্তর দেননি।

ফলে তালিকা নিয়ে জটিলতা কী ভাবে কাটবে, জানেন না দলের কর্মীদের বড় অংশই। নাগরিকেরাও বিভ্রান্ত বলে জানাচ্ছেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE