ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল নেতা। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে এক মহিলাকে গুলি করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে। নেটমাধ্যমে সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিয়োয় মাস্ক পরা শাহজাহানকে দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, হুমকির স্বর। একই সঙ্গে সেখানে এক মহিলার কণ্ঠস্বরও শোনা গিয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, ওই কণ্ঠস্বর শাহজাহানের। তিনি যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ বলছে, পুরনো ভিডিয়ো। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর সত্যতা যদিও যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
মাত্র ১৬ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োয় শোনা গিয়েছে, এক ব্যক্তির উদ্দেশে এক মহিলা বলছেন, ‘‘আপনারা লোক জন নিয়ে ভিতরে ঢোকেন? আপনি একা আসবেন।’’ এর পর যার উদ্দেশে এ কথা বলা সেই ব্যক্তি উত্তর দেন, ‘‘আরে একা কী করবি রে ওই? একা কী করবি? দ্বিতীয় দিন দেখব তোকে ... গুলি করব রে।’’ এর পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে বলেন, ‘‘চলুন, চলুন।’’ এই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই বলছেন, যার উদ্দেশে ওই মহিলা কথা বলছেন তিনি ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শাহাজাহান মোল্লা।
অনেকের দাবি, ওই ভিডিয়োয় যে এলাকা দেখা গিয়েছে তা হল ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর এলাকা। তন্দ্রা দাস নামের ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁদের সাড়ে ১৪ বিঘা পৈতৃক সম্পত্তি এবং তার উপর তৈরি করা শিশুদের বিদ্যালয় ভেঙে জোর করে জমি দখল করা হচ্ছে। দিন কয়েক আগে তন্দ্রা এবং তাঁর মাকে মারধর করে শরীরে রাসায়নিক ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তাঁদের আরও অভিযোগ, এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এর পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে ওই পরিবারটি।
বারুইপুর জেলা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ভাঙড় থানার চন্দনেশ্বরের তন্দ্রা এবং শাহজাহান মোল্লা-র মধ্যে জমিজায়গা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যা চলছে। এর ভিত্তিতে দু’পক্ষই থানায় নানা অভিযোগ করেছে। সেই সব অভিযোগের তদন্তও চলছে। এখন যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তা বর্তমানের নয়, এক বছর আগের। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
যদিও যাঁকে ঘিরে এই অভিযোগ সেই শাহজাহান বলেন, ‘‘এ সব অভিযোগ মিথ্যা। ওটা বিকৃত করা ভিডিয়ো। জোর করে ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে।’’
এ নিয়ে সুন্দরবন জেলা তৃণমূলের সভাপতি যোগরঞ্জন হালদারের বক্তব্য, ‘‘এখনও ভিডিয়োটি হাতে পাইনি। দলের কেউ যুক্ত থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিরোধীরা আমাদের দলকে কলুষিত করতে মিথ্যে অভিযোগ করে। এ ক্ষেত্রে সেই ধরনের ঘটনা কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy