যাত্রিবাহী বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরবাইক চালক ও আরোহীর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অনুপ দাস (৩২) ও দিলীপ দাস (৩৩)। কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না।
মুখ্যমন্ত্রীর ‘সেভ ড্রাইভ সেফ লাইফ’ কর্মসূচির পরেই হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক দেখলেই পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে। পুলিশের এত ঘোষণার পরেও বাইক চালক ও আরোহীরা সচেতন হচ্ছেন না। এসডিপিও বনগাঁ অনিল রায় বলেন, ‘‘ঘটনাটি দুঃখজনক। হেলমেট পড়ার বিষয়ে বাইক চালক ও আরোহীদের আরও সচেতন হতে হবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ বাগদার মালিপোতা মোড় এলাকায় স্থানীয় গোপালনগর-বাজিৎপুর সড়কে একটি বাসের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। বাসটি যাচ্ছিল বনগাঁর দিকে।
বাইকটি বাসের তলায় ঢুকে যায়। বাইক চালক ও আরোহী দূরে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চালকের। জখম আরোহীকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁরা ওই এলাকারই বাসিন্দা। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। অনেকেই মনে করেন হেলমেট থাকলে হয় তো প্রাণহানি হতো না।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ফাঁকা রাস্তায় বাস চালকও বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন। পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে। চালক পলাতক।
কিছুদিন আগে হেলেঞ্চা-দত্তফুলিয়া সড়কে এক কলেজ ছাত্রী স্কুটি চালিয়ে পড়তে যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় মারা যান। তাঁর মাথায়ও হেলমেট ছিল না। পুলিশ রোজ নিয়ম করে হেলমেট ছাড়া বাইক ধরছে। আইনত পদক্ষেপ করছে। একই সঙ্গে প্রচারও চালাচ্ছেন বাইক চালকদের সচেতন করতে। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে কই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy