Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

খেলা নিয়ে গোলমাল, স্কুলে ভাঙচুর

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে স্কুলের নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রেরা মিলে ক্লাসঘরেরই ক্রিকেট খেলছিল। খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় নস্কর সাময়িক ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে দেন। কিন্তু তাঁর কিছু মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় কিছু ছাত্রের মধ্যে। 

তাণ্ডব: স্কুলের অবস্থা। ছবি: সামসুল হুদা

তাণ্ডব: স্কুলের অবস্থা। ছবি: সামসুল হুদা

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ক্যানিং শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৪০
Share: Save:

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’দল ছাত্রের মধ্যে মারামারি বেধেছিল। পরে যে গঠনাকে কেন্দ্র করে স্কুলে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল এক দল ছাত্র ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের তালদি মোহনচাঁদ হাইস্কুলে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন বহিরাগত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে স্কুলের নবম, দশম ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রেরা মিলে ক্লাসঘরেরই ক্রিকেট খেলছিল। খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় নস্কর সাময়িক ভাবে বিষয়টি মিটিয়ে দেন। কিন্তু তাঁর কিছু মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় কিছু ছাত্রের মধ্যে।

শনিবার স্কুল চলাকালীন একদল ছাত্র ও বহিরাগত গেট ভেঙে স্কুলে ঢোকে। তারা প্রধান শিক্ষকের দেখা না পেয়ে তাঁর অফিস, ল্যাবরেটরি এবং ক্লাসরুমে ভাঙচুর চালায়। মিড ডে মিলের চালও নষ্ট করা হয়। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় অশিক্ষক কর্মীদের। ছাত্রদের মারে গুরুতর জখম হন সূর্যকান্ত সর্দার নামে এক অশিক্ষক কর্মী।

এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুলের অন্য পড়ুয়ারা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশকেও ধাক্কাধাক্কি ও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পরে ক্যানিং থানার ওসি আশিস দাসের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।

এক ছাত্র বলে, ‘‘শুক্রবার স্কুলে কয়েকজন ছাত্র খেলছিল। সেই নিয়ে তাদের মধ্যে গন্ডগোল হয়। কয়েকজন মার খায়। পরে প্রধান শিক্ষক গন্ডগোল মেটানোর নামে পক্ষপাতিত্ব করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এ দিন ওই ছাত্র বাইরে থেকে ছেলে এনে ঝামেলা করে।’’

স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য আশিস রায় বলেন, ‘‘স্কুলের একটি ফাঁকা ঘরে খেলা নিয়ে দু’দল ছাত্রের মধ্যে ঝামেলা হয়। একপক্ষ মার খায়। প্রধান শিক্ষক গন্ডগোল মিটিয়ে দিলেও যারা মার খেয়েছিল তারাই এ দিন স্কুলে এসে ঝামেলা করে।’’

এ বিষয়ে ক্যানিংয়ের সহকারী স্কুল পরিদর্শক সুখেন্দু মিস্ত্রি বলেন, ‘‘ওই স্কুলে একটি ঝামেলা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। সকলকে নিয়ে বসে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের কথা বলব তাঁকে।’’

এ দিন প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসায় তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন বন্ধ ছিল।

অন্য বিষয়গুলি:

School Vandalism Sport
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE