কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলছেন এক গ্রামবাসী। নিজস্ব চিত্র
দেড় বছর আগে একশো দিনের কাজ করেও এখনও সেই টাকা পাননি শ্রমিকেরা। কেউ ১০ হাজার, কেউ ১৫-২০ হাজার টাকাও পান। রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছে পেয়ে বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি জানালেন গ্রামের মানুষ।রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়েছিলেন দুই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি।
পাথুরিয়া এলাকার বাসিন্দা নিত্যানন্দ বালা তাঁদের জানান, একশো দিনের প্রকল্পে ৯৮ দিন কাজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু দেড় বছর হয়ে গেল, মজুরি পাননি। নিত্যানন্দ পরে বলেন, ‘‘ওঁরা জানতে চান, যন্ত্র দিয়ে মাটি খনন করার পরে মাটি তুলেছিলান কি না। আমি জানাই, কোদাল দিয়েই মাটি কেটেছিলাম।’’প্রমিলা বালা নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘দেড় বছর কেটে গেল, প্রায় ১৬ হাজার টাকা পাই। ওঁরা বলে গিয়েছেন, কিছু করা যায় কি না দেখবেন।’’
প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা চরমণ্ডল এলাকায় এক মহিলার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন, উজ্জ্বলা গ্যাসের লাইন আছে কি না। শৌচাগার আছে কি না। মহিলা জানান, সরকারি গ্যাসের সংযোগ আছে। শৌচাগারও তিনি নিজের টাকায় করে নিয়েছেন। চরমণ্ডল থেকে ফেরার পথে কিছু মহিলা প্রতিনিধিদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়।
ওই বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার পথঘাট ভাঙাচোরা। আবাস যোজনার তালিকায় বহু গরিব মানুষের নাম নেই। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, বিজেপির গোপালচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিরোধী সদস্য বলে পঞ্চায়েতের কোনও সহযোগিতা পাই না। কাজ করতে পারি না।’’
পঞ্চায়েত প্রধান সৌমেন ঘোষ পরে বলেন, ‘‘ওই এলাকার মানুষের ক্ষোভ প্রধানের বিরুদ্ধে নয়। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। আগামী দিনে রাস্তার কাজ করে দেওয়া হবে।’’ প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা কোনিয়াড়া ২ পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্প সম্পর্কে খোঁজ-খবর করেন। দলের সদস্য আর কে রায় বলেন, ‘‘গোপন রিপোর্ট জমা দেব। কোনও অসঙ্গতি চোখে পড়ল কি না, তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy