কানের দুলের লোভে প্রতিবেশী দশ বছরের শিশুকে খুনের দায়ে এক মহিলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার বারাসত জেলা আদালতের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দমনপ্রসাদ বিশ্বাস সাজা ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত মহিলার নাম আরিফান বিবি। বয়স চল্লিশ বছর। মামলার সরকারি আইনজীবী বিপ্লব রায় জানান, আরিফানকে বিচারক মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। বুধবার আরিফানের কাছে জানতে চান সে কী শাস্তি চায় যাবজ্জীবন কারদণ্ড না ফাঁসি। ওই মহিলা নিরুত্তর ছিল।
মামলায় মোট ২৭ জন সাক্ষী ছিলেন। আরিফানকে জেলে রেখেই বিচার করা হয়েছিল। রায় শুনে অবশ্য ওই শিশুর পরিবারের সদস্যেরা খুশি নন। তার দাদা রাজু মণ্ডল বলেন, ‘‘আশা করেছিলাম আরিফানের ফাঁসি হবে। সেটা হলেই বেশি খুশি হতাম।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১২ সালে। অশোকনগরের ছালারহাট গ্রামের বাসিন্দা ওই তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আজমিরা খাতুন বাড়ির কাছেই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল। এরপর রাত ৮টার সময় বাড়ির কাছেই রাস্তার পাশে একটি পুকুরে হাত বাঁধা অবস্থায় তার দেহ পাওয়া যায়। আজমিরার কানে এক জোড়া সোনার দুল ছিল। তা মেলেনি। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রতিবেশী আরিফানকে গ্রেফতার করে। সে খুনের কথা স্বীকারও করে। সে পুলিশকে জানিয়েছিল, আজমিরার কানে থাকা সোনার দুলটি ছিনিয়ে নেওয়াটাই ছিল তার লক্ষ্য। কিন্তু সে সকলকে বলে দিতে পারে সেই ভয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
ধৃত তিন দুষ্কৃতী। এক সূত্রে খবর পেয়ে হাবরা থানার পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল। বুধবার রাতে স্থানীয় নকপুল এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। তাদের নাম বাবুই পার্সি, রিন্টু দাস এবং চন্দন রায়। ধৃতদের বাড়ি গোবরডাঙা ও অশোকনগরে। তাদের কাছ থেকে একটি গুলি ভর্তি পিস্তল, ভোজালি, লোহার রড আটক করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy