Advertisement
১৬ মে ২০২৪

আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার পার্শ্বশিক্ষক

অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগও আনা হয়েছে বিশ্বজিৎ ঘোষ নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। দেগঙ্গার নুননগর পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অমৃতলাল ঘোষের ছেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৪০
Share: Save:

অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগও আনা হয়েছে বিশ্বজিৎ ঘোষ নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। দেগঙ্গার নুননগর পঞ্চায়েতের রামপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অমৃতলাল ঘোষের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আড়াই আগে ওই এলাকার ফাজিলপুরের বাসিন্দা একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় বিশ্বজিতের। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটির ঘনিষ্ঠ হন বিশ্বজিৎ। মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপরেই মেয়েটিকে বিয়ে করতে বেঁকে বসেন ওই যুবক।

মেয়েটি গত ২০ জানুয়ারি ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় হুমকির নালিশ জানান। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, মামলা তুলে না নিলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওই যুবক। এমনকী নানা ভাবে মেয়েটিকে আত্মহত্যার প্ররোচনাও দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ফের থানায় অভিযোগ করেন ওই তরুণী। শুক্রবার কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে বারাসত হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় কলকাতার হাসপাতালে। এখনও চিকিৎসাধীন তিনি। ওই ঘটনার পরেই দেগঙ্গা থানায় বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বজিৎ স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক। ওই তরুণীর এক আত্মীয় বলেন, “দু’জনের মধ্যে রেজিস্ট্রিও হয়ে গিয়েছে। সে কারণে মেলামেশায় কখনও আপত্তি করা হয়নি।” কিন্তু বিশ্বজিৎ রেজিষ্ট্রির নথি ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে মেয়ের পরিবারের অভিযোগ। তাঁদের আরও দাবি, তৃণমূল নেতার ছেলে হওয়ার সুবাদে প্রথম অভিযোগ পাওয়ার পরেও বিশ্বজিৎকে ধরেনি পুলিশ। পরে অবশ্য মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করায় ব্যবস্থা নেয় থানা। শনিবার রাতেই বর্ধমানে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বিশ্বজিতকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পালিয়ে যাওয়ায় এত দিন তাঁকে ধরা সম্ভব হয়নি।

বিশ্বজিতের দাবি, “পরিকল্পনা করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।” অমৃতবাবুরও বক্তব্য, “মনে হচ্ছে কোনও চক্রান্তের শিকার হয়েছে ছেলে। ওকে ফাঁসিয়ে আমার সন্মানহানির চেষ্টা করা হতে পারে। তবে আমি চাই আইন আইনের মতো কাজ করুক।”

দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক এম নুরুজামান বলেন, “পুলিশকে বলা হয়েছে কোনও রাজনীতির রং না দেখে ব্যবস্থা নিতে। দল নির্যাতিতার পাশে আছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

biswajit ghosh parateacher tmc southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE