স্বাবলম্বী হল না শহর
শেখর দাস পরিচালিত ‘নয়নচাঁপার দিনরাত্রি’র মতো আরও নয়নচাঁপারা কাকভোর থেকে পেটের তাগিদে কলকাতামুখী। তাঁদের মধ্যে কোলে দু’মাসের শিশু নিয়ে মহিলা যেমন আছেন, আছেন বিবাহবিচ্ছিন্না, বৃদ্ধা, বিধবা এবং নানা বয়সের মেয়েরা। কলেজ জীবনে এঁদের সঙ্গেই নিয়মিত যাতায়াত করতাম ক্যানিং লোকালে। যাঁরা পেটের তাগিদে রোজ কলকাতা যাতায়াত করেন, সেই মহিলাদের জীবনের কি কোনও পরিবর্তন সম্ভব নয়? ক্যানিং আমার শহর মনে করে গর্ববোধ করব তখনই, যখন মানুষ কলকাতামুখী হয়ে নয়, ক্যানিঙে থেকেই বাঁচবে। সুস্থ, সুন্দর, নির্মল পরিবেশ তৈরি হবে শহরে। হিংসা, হানাহানিও বন্ধ হবে। আরও একটি বিষয় বলা জরুরি । শহরে মহিলা শৌচালয়ের সংখ্যা কিন্তু যথেষ্ট নয়।
সিস্টার হাসনা, হাসপাতালপাড়া
রাস্তা চওড়া হয়নি
‘আমার শহর’ প্রতিবেদনটি খুবই ভাল লেগেছে। শহর সম্পর্কে বহু অজানা তথ্য জানতে পারলাম। কিন্তু ক্যানিং একটি ঐতিহ্যপূর্ণ শহর হওয়া সত্ত্বেও শহরের উন্নয়ন অবহেলিত। ২০১১ সালে ক্যানিং-বাসন্তী একটি সেতু নির্মাণ হওয়ায় ক্যানিংয়ে যানবাহন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু রাস্তা সম্প্রসারণ হয়নি বললেই চলে। যানজট, দুর্ঘটনা বাড়ছে। বাজার-লাগোয়া প্রধান রাস্তা প্রসারিত হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবেন। ক্যানিংয়ে কোনও সরকারি অতিথিশালা নেই। অতিথিশালা হলে দেশ-বিদেশের পর্যটকও বাড়বে।
সইদুল খান, ক্যানিং
বেহাল নিকাশি
ক্যানিংয়ের অনেক সমস্যার মধ্যে অন্যতম নিকাশি। যেটুকু আছে, তা সংস্কার না হওয়ায় বর্ষায় নালা উপচে জল রাস্তায় চলে আসে। নানা রোগের কবলেও পড়তে হয়। কিন্তু প্রশাসনের হেলদোল নেই। আপনারা এ বিষয়ে আলোকপাত করলে উপকৃত হব।
আফরাজা বুলবুল। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী
অঙ্গনওয়াড়ি সমস্যা
ক্যানিংয়ের আশপাশে ছড়িয়ে থাকা বহু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিকাঠামো ভাল নয়। শৌচালয় ও জলের অভাব যথেষ্ট। বহু শিশুর স্বাস্থ্য এর সঙ্গে যুক্ত। পরে কোনও সময়ে এ বিষয়ে আলোকপাত করবেন আশা রইল।
সুমনা মণ্ডল। ক্যানিং
কমিউনিটি হল চাই
‘আমার শহর’ পড়ে ভাল লেগেছে। ক্যানিংয়ে কমিউনিটি হল না থাকায় কলকাতার সঙ্গে ক্যানিংয়ের সাংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটছে না। কমিউনিটি হল হলে সেই সুযোগ পাওয়া যাবে।
মেঘমালা ঘোষাল। নৃত্য শিল্পী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy