শিক্ষা দফতর বলছে, একতলা বাড়ির উপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির ভিত বেশ পোক্ত। পুর দফতরের দাবি, নড়বড়ে ওই ভিতের উপর দোতলায় ঘর বানালে, তা ভেঙে পড়বে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির জন্য দু’বছর আগেই টাকা মঞ্জুর হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ সরকারি দুই দফতরের এমন টালবাহানায় শুরুই করা যায়নি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরির কাজ। ফলে বসিরহাট পূর্ব চক্রের অধীনে থাকা ৫৬টি স্কুলের ২৩৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশিক্ষণ এবং মাসিক বৈঠক বন্ধের মুখে। দুই দফতরই পরস্পরকে দোষারোপ করেছে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের এক ব্লক আধিকারিকের দফতরের পাশে কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছে বসিরহাট পূর্বচক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের একতলা দফতরটি। ২০১২ সালে ওই বাড়ির দোতলায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি তৈরির জন্য সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে ৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়। ঠিক হয় পুরসভা ওই বাড়ি কেন্দ্র তৈরির দায়িত্ব নেবে। সেই মতো পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে টাকাও পৌঁছয়। কিন্তু পুর-কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, নতুন বাড়ির ভিত শক্তপোক্ত নয়। পুরপ্রধান কৃষ্ণা মজুমদার বলেন, “পূর্বচক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের যে বাড়িটির উপর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ার কথা বলা হচ্ছে, তার ভিত একতলার। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে ইতিমধ্যে আমি ওই বাড়িটি দেখে এসেছি। ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকায় সেখানে দোতলা করা সম্ভব নয়। জমি দিলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে।”
কিন্তু শিক্ষা দফতরের দাবি, প্রশিক্ষণকেন্দ্রটির পরিকল্পনা তো পুর ইঞ্জিনিয়রেরাই করেছিলেন। তা হলে তাঁরা কেন বুঝতে পারলেন না, ভিত তেমন পোক্ত নয়? বসিরহাট পূর্বচক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শৈলেশ পাল বলেন, ‘‘আমাদের একতলা দফতরটি নতুন ভাবে তৈরি করা হয়েছে। তার উপরে প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়া কোন সমস্যই নয়। তা ছাড়া পুর ইঞ্জিনিয়ারদের ছাড়পত্রের পরেই সর্বশিক্ষা মিশন টাকা মঞ্জুর করেছে। তা হলে এখন ভেঙে পড়ার দোহাই দিয়ে পুর-কর্তৃপক্ষ কেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়তে টালবাহানা করছে তা বোঝা যাচ্ছে না।” পূর্বচক্রের অবর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের তরফে মাটি পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, ওই ভবনের উপর দোতলা করলে কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। অভিযোগ, মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট পুর কর্তৃপক্ষকে দেখালেও কোনও কাজ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পুর-কর্তৃপক্ষ কোনও গুরুত্বই দেয়নি।
দুই সরকারি দফতর পরস্পরকে দোষারোপ করে চলছে। আর ক্ষতির মুখে পড়ছেন ৫৬টি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিজস্ব কোনও ঘর না থাকায় প্রশিক্ষণ তো দূরের কথা, জরুরি প্রয়োজনে টাউনহল বা রবীন্দ্রভবন ভাড়া করতে হয়। অনেক সময়ে তা-ও পাওয়া যায় না।
সংখ্যালঘুদের বিএড কলেজ। মিনাখাঁ আমতলা বাজারে সুন্দরবন মাইনরেটি বিএড কলেজের উদ্বোধন করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবির। বুধবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলি, সুন্দরবন এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন মল্লিক প্রমুখ। একই দিনে সুন্দরবন মাইনরিটি পাবলিক হাসপাতালেরও উদ্বোধন হয়। ইদ্রিশ বলেন, “শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের উন্নয়ন চান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বিএড কলেজ এবং হাসপাতালের জন্য ভবিষ্যতে যদি এ জন্য কোনও রকম সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে, তা হলে আমি তা করতে সব সময়ে প্রস্তুত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy