Advertisement
২৫ মে ২০২৪

বজবজের ব্যস্ত রাস্তায় যানজট কমাতে মুখ ঘুরল দোকানের

রাস্তার পাশেই সার দিয়ে রয়েছে দোকান। তার সামনে আবার হকার। এর উপরে ক্রেতার ভিড়। এ ভাবেই কুড়ি ফুট রাস্তার অর্ধেকটা দখল হয়ে গিয়েছে। বাকি অংশ দিয়ে চলছে গাড়ি। ফলে তৈরি হচ্ছে যানজট। নিত্যদিন এই ছবি দেখা যায় বজবজ পুর এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন রোডের।

শুরু হয়েছে দোকান তৈরির কাজ। —নিজস্ব চিত্র

শুরু হয়েছে দোকান তৈরির কাজ। —নিজস্ব চিত্র

সুপ্রিয় তরফদার
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৬
Share: Save:

রাস্তার পাশেই সার দিয়ে রয়েছে দোকান। তার সামনে আবার হকার। এর উপরে ক্রেতার ভিড়। এ ভাবেই কুড়ি ফুট রাস্তার অর্ধেকটা দখল হয়ে গিয়েছে। বাকি অংশ দিয়ে চলছে গাড়ি। ফলে তৈরি হচ্ছে যানজট। নিত্যদিন এই ছবি দেখা যায় বজবজ পুর এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন রোডের।

কিন্তু এ বার ছবিটি পাল্টাতে চলেছে। তবে তার জন্য দোকান সরানো হচ্ছে না। শুধু ঘুরে যাচ্ছে দোকানের মুখ। পুরসভা সূত্রের খবর, বজবজের মহাত্মা গাঁধী রোড থেকে কালীবাড়ি ছাড়িয়ে চলে গিয়েছে চিত্তরঞ্জন রোড। সমস্যা মূলত প্লাস্টার মোড় থেকে স্টেশনের কেবিন পর্যন্ত। এ বার তা বদলাতেই উদ্যোগী হল বজবজ পুরসভা। রাস্তার পাশের দোকানগুলি নতুন করে তৈরি করে মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করতে হবে না। দোকানগুলিও পাকা হবে। এতে রাস্তায় যানজটও কমবে বলে আশা বাসিন্দা থেকে প্রশাসন সকলেরই।

পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের গৌতম দাশগুপ্ত বলেন, “এই দোকানগুলি বেআইনি ভাবে ছিল। তার উপর রাস্তায় যানজটও হচ্ছিল। মানবিকতার খাতিরে পুরসভা দোকানগুলি তোলেনি। দোকানগুলির মুখ ঘুরিয়ে নতুন করে তৈরি করছে। দোকান পিছু ষাট হাজার টাকার বিনিময়ে সেগুলি তাঁদের দেওয়া হবে।”

তিনি জানান, ছ’ফুট লম্বা, আট ফুট চওড়া, পাকা ছাদ ও সাটার লাগানো ৯০টি দোকান হচ্ছে। মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করে সেগুলি দোকানমালিকদের দিয়ে দেওয়া হবে। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে কিছু ব্যবসায়ী বিরোধীতা করছেন। যেমন, এক ব্যবসায়ী বলেন, “প্রধান রাস্তা থেকে দোকানের মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ায় ব্যবসা মার খাবে। কারণ, কোনও ক্রেতা ঘুর পথে আসবেন না।” যদিও অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, “একটি নয়, সমস্ত দোকানের মুখই ঘুরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্রেতা যা কিছু কিনতে চান না কেন, তাঁকে তো ওই পথেই আসতে হবে। ফলে ব্যবসা না হওয়ার কোনও সমস্যা হবে না।”

কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, জায়গাটি পুরসভার নয়। তা সত্ত্বেও বেআইনি ভাবে কাজ করছে পুরসভা। যদিও গৌতমবাবু জানান, এটা ঠিক নয়। ওটা পুরসভার নিজের জায়গা। চড়িয়ালেও যানজট হয়। সেখানে পুরসভা কিছু করতে পারে না কারণ, ওটি পিডব্লিউডি-র জায়গা। কিন্তু এটি পুরসভার জায়গা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

budge budge supriya tarafder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE