বিপজ্জনক গর্ত সেতুতে।—নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরে মাতলা সেতুর সংস্কার হয় না। ইতিমধ্যে সেতুর উপর কংক্রিটের চাঙর উঠে গিয়ে লোহার রড বেরিয়ে গিয়েছে। এরমধ্যেই তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয় অতীতে ওই সেতুর উপর পথ দুর্ঘটনায় বেশ কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। তবু প্রশাসনের তরফে সেতু সংস্কার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে ক্ষোভও বাড়ছে এলাকায়।
সুন্দরবনে পর্যটনের প্রসার এবং সুন্দরবনের সঙ্গে শহর ও শহরতলির সংযোগ ঘটাতে ক্যানিংয়ে মাতলা নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছিল মাতলা সেতু। ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সেতুর উদ্বোধন করেন। সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে ওই সেতু তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪০ কোটি টাকা। ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর উপরে প্রায় ১ কিলোমিটার লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া সেতুটি তৈরি হওয়ার ফলে ক্যানিংয়ের সঙ্গে বাসন্তী, গোসাবা তথা সুন্দরবনের সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক মসৃণ হয়। এমনকী, সুন্দরবনের সঙ্গে শহর ও শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটেছে এই সেতুর জন্য।
সুন্দরবনের অন্যতম যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল শুধু রেলপথ। কিন্তু এই সেতু নির্মাণের পর থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার কানমারি, ধামাখালি ও সরবেরিয়া-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নতি ঘটেছে। রেলপথের পাশাপাশি সড়কপথেও যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল হয়েছে। কিন্তু সেতু নির্মাণের পরে থেকে সে ভাবে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাজ মহম্মদ, মিলন মণ্ডলরা বাসিন্দারা বলেন, “যাত্রীরা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে এখন ভয় পান। গাড়ি চালকেরা এই সেতুর উপর দিয়ে ঠিক ভাবে গাড়ি চালাতে পারেন না। প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।” সেতুর উপরে লাগানো আলোগুলিও ঠিকমতো জ্বলে না। সেই সুযোগে নানা অপরাধমূলক কাজকর্ম চলে বলে অভিযোগ। মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য বলেন, “সেতুর উপরে বেশ কিছু গর্ত তৈরি হয়েছে তা নজরে এসেছে। আমি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।” সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “খবর পেয়েছি। দফতরের বাস্তুকারদের বলেছি, ওই সেতু পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy