স্কুলে উপযুক্ত পরিকাঠামোর ও পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী থাকলে, তবেই ভর্তি নেওয়া যাবে ৪০০ ছাত্র-ছাত্রী।
স্কুলে উপযুক্ত পরিকাঠামোর ও পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী থাকলে, তবেই ভর্তি নেওয়া যাবে ৪০০ ছাত্র-ছাত্রী। এক নতুন নির্দেশিকায় একথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। রবিবার রাতে এই নতুন বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে। পুরনো বিজ্ঞপ্তিটির কথা উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, প্রথম নির্দেশিকায় যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুলগুলিতে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭৫ থেকে ৪০০ করা হল। এই নির্দেশ বলবৎ থাকছে সেইসব শিক্ষা কেন্দ্রগুলির ক্ষেত্রে, যে সমস্ত বিদ্যালয়ে পরিকাঠামো রয়েছে। পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে কি কি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, যে সমস্ত বিদ্যালয়ে পরিকাঠামোগত ভাবে উন্নত ও পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী রয়েছেন, শুধুমাত্র সেখানেই ৪০০ জন ছাত্রছাত্রী নেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার প্রকাশিত হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। তারপরেই স্কুলগুলিকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আসন সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেয় পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেই নির্দেশনামায় বলা হয়, 'সকল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়াতনের প্রধানদের জানানো যাচ্ছে যে এ বছর, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা ২৭৫ থেকে বর্ধিত করে ৪০০ করা হল।' শিক্ষা সংসদের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সেক্রেটারি-ইন-চার্জ তাপস মুখোপাধ্যায়।
এই সিদ্ধান্তের পরই জেলা স্তরে বিভিন্ন স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানানো হয় তাদের স্কুল এই মুহূর্তে এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর চাপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। তাই বিকল্প কোনও বন্দোবস্ত করা হোক। শেষমেষ রবিবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সিদ্ধান্ত নেয়, যে স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো সঙ্গে উপযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী রয়েছেন সেখানে শুধুমাত্র ৪০০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নেওয়া যাবে। এ বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেন, "গত কয়েক বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। পাশাপাশি শিক্ষা কর্মী নিয়োগ করা যায়নি বলেই আমরা জানতে পেরেছি। তাই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের উচিত ছিল বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করা। ৪০০ ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি নেওয়ার পর আমরা বিষয়টি সংসদকে জানিয়েছিলাম। তাই দেরিতে হলেও নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে স্কুলগুলির উপর চাপ কমিয়েছে সংসদ।"
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy