যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত বিশ্বের সেরা ২% বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বার যাদবপুরের ৪২ জন রয়েছেন। গত বছর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের গবেষণার এই তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ জন শিক্ষক-গবেষক।
বেশ কিছু দিন ধরেই এই বিশ্ববিদ্যালয় তীব্র অর্থকষ্টে ভুগছে। অভিযোগ, দিনে দিনে কমে যাচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের থেকে পাওয়া আর্থিক সাহায্য। তারই মধ্যে যাদবপুরের এই সাফল্য।
আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তালিকায় ভারতের মোট ৩ হাজার ৭৯৬ জন বিজ্ঞানী-গবেষক রয়েছেন। সেই তালিকায় ভারতের কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুরের শিক্ষক-গবেষকদের সংখ্যা সর্বোচ্চ। শুধু বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স, আইআইটি দিল্লি, আইআইটি খড়্গপুর, আইআইটি বম্বে, আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইটি কানপুর এবং আইআইটি রুরকি যাদবপুরের আগে রয়েছে। এ রাজ্যের মধ্যে নাম রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরও। তবে স্ট্যানফোর্ডের তালিকায় রয়েছেনসেখানকার ১৩ জন।
জানা গিয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষণাপত্রের মান, গবেষণাপত্রে অংশগ্রহণ বা লেখক হিসাবে গবেষকের কত নম্বরে নাম রয়েছে, গবেষণাপত্রের ‘সাইটেশন’ এবং ‘এইচ-ইন্ডেক্স’ কত, তার নিরিখে সেরা বিজ্ঞানী-গবেষকদের বেছে নিয়েছে স্ট্যানফোর্ড।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষকদের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘গত বছরের থেকে যাদবপুর এ বার আরও এগিয়েছে। এই তালিকায় যাদবপুরের আগে কোনও কেন্দ্রীয় বা প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। স্বল্প আর্থিক সংস্থান নিয়েই যাদবপুর পঠনপাঠনের পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রেও বিশ্বমানকে ছুঁতে পেরেছে।’’ স্ট্যানফোর্ডের তালিকায় থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটর সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক উজ্জ্বল মৌলিক এ দিন বলেন, ‘‘দিনে দিনে গবেষণাক্ষেত্রে আর্থিক অনুদান কমছে। তার মধ্যেই যাদবপুরে বিশ্বমানের গবেষণা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy