তারাপীঠের মন্দির। —ফাইল চিত্র।
সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে গেলেই মিলতে পারে ৫১ পীঠের দর্শন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তেমনই বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভুম জেলার সফরে এসে এমন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারাপীঠ রামপুরহাট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (টিআরডিএ)কে। জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এত দিন নির্মাণকার্য শুরু করা যায়নি। সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ছাড়পত্র মেলার পরেই এই কাজে গতি এসেছে। শীঘ্রই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলেই সূত্রের খবর।
তাই, আর কয়েক বছরের মধ্যেই তারাপীঠে গেলেই মিলবে ৫১ সতীপীঠের দর্শন। রামপুহাটের চিলাব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ৫১ পীঠের প্রতিরূপ গড়ে তুলতে ৩১ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু আইনী সমস্যার কারণে এই কাজ শুরু করা সম্পন্ন হচ্ছিল না। বর্তমানে জমি সংক্রান্ত জটিলতা কেটে গিয়েছে। বন দফতরের হাতে থাকা জায়গাটি টিআরডিএ-কে হস্তান্তর করা হয়ে গিয়েছে। পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, তারাপীঠে ৫১ পীঠের আদলে মন্দিরের নির্মাণ কাজের ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। সব ঠিকঠাক চললে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই পরিকল্পনা রূপায়িত হলে তারাপীঠে এলেই ৫১টি সতীপীঠ দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। যদিও, শাস্ত্রোক্ত পাঁচটি সতীপীঠ রয়েছে এই বীরভুম জেলাতেই ।
পর্যটন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “পাকিস্তানের করাচিতে মা মহিষাসুরমর্দিনী ও হিংলাজেও সতীপীঠ রয়েছে। বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সতীর ডানহাত পড়েছিল বলে কথিত আছে। কাশ্মীরে রয়েছে মা মহামায়ার মন্দির। কৈলাস পর্বতের পাদদেশে মানস সরোবর, পাঞ্জাবের জলন্ধর, ত্রিপুরা সহ দেশের একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে রয়েছে সতীপীঠ। যদি তারাপীঠে এসেই তীর্থযাত্রীরা সব মন্দির দেখতে পান, তবে তা ভাল হবে। তাই রাজ্য সরকারের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, নিউটাউনে সপ্ত আশ্চর্য নির্মাণকারী সংস্থাকেই সতীপীঠ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy