উভয়ের বাক্যালাপ বন্ধ হয়নি। রবিবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে এক মঞ্চে বসে তাঁরা বৈঠকও করেছেন। কিন্তু দু’সপ্তাহ আগে বিরোধী দলনেতা নির্বাচনে বিধান ভবনে ভোটাভুটির পর থেকেই দু’জনের সম্পর্কের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মানস ভুঁইয়ার একান্ত বৈঠকের পরে সেই তার জোড়া লাগল।
কী কথা হল দু’জনের? মান্নান বলেন, ‘‘আমি দশ বছর বিধানসভায় ছিলাম না। মানস ছিল। তৃণমূল আমলের রীতি-নীতির সঙ্গে আমি অভ্যস্ত নই। পরিষদীয় দলের কাজ যাতে সুচারু ভাবে পরিচালনা করা যায়, তা নিয়েই কথা হয়েছে।’’ আর মানসের কথায়, ‘‘মান্নানকে বলেছি, দলনেতা হিসেবে যে কাজ আমাকে দেবে, সব রকম ভাবে সাহায্য করব।’’ বিধানসভায় মানসকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে মান্নান আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের কোন বিধায়ক কোথায় বসবেন, বিভিন্ন কমিটিতে কংগ্রেসের কে সদস্য হবেন, তা-ও আলোচনাতেই ঠিক হবে।
বাম আমলে মানস কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। ২০১২ সালে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে কোনও পদে না-থাকলেও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। অন্য দিকে, মান্নান দীর্ঘ দিন কোনও পদে ছিলেন না। অধীর রবিবারই দুই নেতাকে বলেন নিজেদের মধ্যে দূরত্ব মিটিয়ে নিতে।
বামেদের সঙ্গে বিধানসভার ভিতরে-বাইরে সম্পর্ক রক্ষা করে চললেও কংগ্রেস প্রধান বিরোধীর ভূমিকাই পালন করবে। শুক্রবার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকবেন অধীর। মান্নান বলেন, ‘‘আমি যখন বিধানসভার সদস্য ছিলাম তখন বিরোধী দলনেতা কোনও প্রশ্ন করতেন না। তিনি উঠে দাঁড়ালেই স্পিকার বলতে দিতেন।’’ তিনি নিজে কোনও কমিটিতে থাকতে চান-না জানিয়ে মান্নান বলেন, ‘‘আমি প্রশ্ন জমা দেব না।’’ কংগ্রেসের বিভিন্ন পদে কাদের দায়িত্ব দেওয়া উচিত, তা জানতে চেয়ে এ দিন দিল্লি থেকে সি পি জোশী ফোন করেন মান্নানকে। বিষয়টি অধীরের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন মান্নান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy