অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি যেতে পারেন অভিষেক। আর মঙ্গলবার থেকেই তাঁর নেতৃত্বে সংসদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াতে পারে তৃণমূল সংসদীয় দল। গত সপ্তাহেই ত্রিপুরায় গিয়ে আক্রান্ত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যে তাঁদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আক্রান্ত হলেও, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আর শনিবার তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তর উপর আক্রমণের ঘটনায় অগ্রণী ভুমিকায় দেখা গিয়েছে অভিষেককে। রবিবার খোয়াই থানায় ধরনা দিয়ে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়েছে তাঁর। সন্ধ্যায় যুব নেতা-নেত্রীদের জামিন না হওয়া পর্যন্ত থানাতেই অবস্থানে বসেছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।
রবিবার রাতেই বিশেষ বিমানে সুদীপ-জয়াদের নিয়ে কলকাতায় ফিরলেও, আবারও ত্রিপুরায় যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তাই মনে করা হচ্ছে, অধিবেশনের শেষ চারদিন তৃণমূল সংসদীয় দলকে আরও বেশি আক্রমণাত্মক ভাবে পরিচালনা করতে পারেন অভিষেক। সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, সোমবার সংসদ ভবনের গাঁধী মূর্তির পাদদেশের ধরনায়। সেখানেই ত্রিপুরায় অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জবাবদিহির দাবি তুলেছেন।
সোমবার ঝাড়গ্রাম রওনা হওয়ার আগে এসএসকেএম হাসপাতালে সুদীপকে দেখতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, এ সবই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহের নির্দেশে। তা না হলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অত সাহস হতে পারে না।’’ তাই রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, ত্রিপুরা নিয়ে মমতার বেঁধে দেওয়া প্রতিবাদের সুরেই অভিষেক সংসদের ভিতরে ও বাইরে আক্রমণ করতে পারেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy