চাল ও গম বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি রেশন ডিলারদের। প্রতীকী ছবি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব বাঙালির পাতে! আর তার জেরেই চিঠি পাঠানো হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্যকে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় খাদ্য ও বণ্টন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠিটি পাঠিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। সেই চিঠিতে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গমের বরাদ্দ কমে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে তারা।
সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে গত এপ্রিল মাস থেকে খোলা বাজারে চাল ও গম বিক্রি প্রকল্প নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গবাসী তথা ভারতবাসীর পাতে। এই নিষেধাজ্ঞার পরে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই) বরাদ্দ দেওয়া বন্ধ করেছে। তাই অবিলম্বে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক এবং রেশন ডিলারদের তাঁদের বরাদ্দ দেওয়া হোক। যাতে সাধারণ মানুষের জন্য চাল ও গমের যোগান পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা যেতে পারে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় সরকার নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করে। কিন্তু অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, এফসিআই-এর কাছে বর্তমানে ১৫৯ লক্ষ টন গম ও ১০৪ লক্ষ টন চাল মজুত রয়েছে। যা আগামী নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে দেশবাসীকে গম ও চাল দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত। তাই কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রীর কাছে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে রাজ্যগুলিকে বরাদ্দ বাড়াতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, “এমনিতেই নিষেধাজ্ঞার কারণে গত কয়েক মাস ধরে আমরা অসুবিধার মধ্যে চলছি। সেই অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেও। শীতের সময় মানুষের খাদ্যাভ্যাসে খানিক পরিবর্তন হয়। এই সময় ভাতের থেকে মানুষ রুটি খেতে বেশি পছন্দ করে। তাই চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে এই সময় গমের বরাদ্দ বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মন্ত্রীকে চিঠি লিখে দাবি করেছি শীতের সময় মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কথা মাথায় রেখে গমের বরাদ্দ বাড়ানো হোক, কারণ আমরা জানি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে পর্যাপ্ত গম মজুত রয়েছে। দেশের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে বলেই আমাদের এই দাবি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy