প্রতীকী ছবি।
বৃষ্টি কমলেও, কমেনি দুর্ভোগ। ত্রাণ নিয়ে উত্তরবঙ্গে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে।
সেই ক্ষোভ সামলাতে পুলিশ গুলিও চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার শ্রীপুর এলাকার কিষাণমাণ্ডিতে ত্রাণের দাবিতে ক্ষোভ শুরু হয়। তখন পুলিশ রবার বুলেট ছোড়ে বলে দাবি। তাতে বিজয় বর্মন নামে এক যুবক আহত। ইটাহারের চাকলাদিঘির বিজয় বিভিন্ন হাটে তেলেভাজা বিক্রি করেন। তিনি রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি। বিজয়ের দাবি, ‘‘তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ত্রাণ পাইনি। বিক্ষোভ শুরু করতেই পুলিশ লাঠি চালায়, তখনই এক পুলিশকর্মী আমাকে লক্ষ করে গুলি চালান।’’ জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ ও জেলাশাসক আয়েশা রানির দাবি, পুলিশ গুলি চালায়নি। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের শল্য চিকিত্সক সঞ্জয় শেঠের দাবি, রবার বুলেট লেগে ওই যুবক জখম হতে পারেন। এখন সুস্থ।
ত্রাণ ও ওষুধের দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের সুরুণ-২ ও দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক বাসিন্দা দুপুরে জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বন্যা দুর্গতদের বিক্ষোভ হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহেও। চার দিন ধরে জলবন্দি বালুরঘাটের চকভৃগুর গোবিন্দপুর এলাকার বানভাসি মানুষ। তাঁরা এ দিন স্থানীয় তৃণমূল সদস্যকে পাকড়াও করে বালুরঘাট থানার সামনে এনে ত্রিপল ও খাদ্য সামগ্রীর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। ত্রাণ না পেয়ে বংশীহরি থানার পাথরঘাটা এলাকায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পুলিশ গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিলির কাজ শুরু করলে দু’ঘন্টা পর উত্তেজনা কমে।
মালদহের চাঁচল থানা থেকে খাদ্যসামগ্রী লুঠের অভিযোগও উঠেছে। বন্যা দুর্গতদের দাবি, ত্রাণ বিলি হচ্ছিল না। সে কারণে তাঁরা ক্ষোভ দেখান। তাতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। পুলিশ দাবি করেছে, লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করা হয়েছে, চালানো হয়নি।
দুই দিনাজপুর ও মালদহে বৃষ্টি নেই, তবু জল বাড়ছে। এ দিন মালদহে এসে সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিহারের জন্য মালদহের মহানন্দা, ফুলহার নদীর জল বাড়ছে।’’ জল ঢুকেছে ইংরেজবাজারেও। ভোরে
চাঁচল ২ ব্লকের খানপুরে মহানন্দা নদীর বাঁধের একাংশ জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে। নতুন করে চাঁচল ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা-সহ রতুয়া ২ ব্লকের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy