প্রতীকী ছবি।
পারদ পতনের খবর মঙ্গলবার শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। আর এ দিনই ডেঙ্গিতে তিন জনের মৃত্যু হল কলকাতার তিনটি হাসপাতালে। এই নিয়ে তিন দিনে রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল পাঁচ জনের।
এ দিন মৃত তিন জনের অন্যতম সান্ত্বনা বন্দ্যোপাধ্যায় (৫০) পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের অস্থায়ী কর্মী। অন্য দু’জন হলেন ভোলানাথ দাস (২৯) ও সুভাষ সমাদ্দার (৬১)। ডেবরার মাড়তলার বাসিন্দা ভোলানাথবাবু মালদহের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াতেন। তাঁর স্ত্রী সুচিত্রাও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। ভোলানাথবাবুর কাকা ও বাবা মারা গিয়েছেন। তাঁদেরও ডেঙ্গি হয়েছিল। কলকাতা পুরসভার সিইউডি প্রকল্পের কর্মী সান্ত্বনাদেবী ট্যাংরা হাউসিংয়ে থাকতেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ডেঙ্গি-তথ্য সংগ্রহ করতেন তিনি। পুরসভার স্বাস্থ্য ক্লিনিকে রক্তপরীক্ষায় তাঁর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। ভর্তি করানো হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লেনিন সরণির জিডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ দিন সকালে মারা যান তিনি। ব্যারাকপুর-পলতার বাসিন্দা সুভাষবাবু প্রায় ১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। স্থানীয় হাসপাতাল থেকে ২৬ নভেম্বর তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ দিন সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
শীতের পদধ্বনির মধ্যেও ডেঙ্গির এত দাপট কেন এবং তাতে মৃতের তালিকা কেন দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এই সব প্রশ্নই ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy