দ্রুত অফিস ছাড়েন নবান্ন-সহ সরকারি কার্যালয়ের কর্মীরাও। প্রতীকী ছবি।
ইঙ্গিত একটা ছিল। তবে ছুটির কোনও সরকারি আদেশনামা প্রকাশ্যে আসেনি। তবে বৃহস্পতিবার কার্যত অলিখিত ছুটিরই পরিবেশ দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে। দুর্গাপুজোকে ঐতিহ্যবাহী উৎসবের যে-স্বীকৃতি ইউনেস্কো দিয়েছে, তার উদ্যাপনে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল সরকার। জোড়াসাঁকো থেকে রেড রোড পর্যন্ত মিছিলে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। দ্রুত অফিস ছাড়েন নবান্ন-সহ সরকারি কার্যালয়ের কর্মীরাও।
সকলকে মিছিলে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে এ দিন বেলা ১টার মধ্যে অফিসে ছুটি দেওয়ার ব্যাপারে আগেই ইঙ্গিত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নবান্ন, নব মহাকরণের কর্মচারীরা এ দিন বেরিয়ে পড়েন অনেক তাড়াতাড়ি। সচিবদের বেশির ভাগই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে। পুরো সময় অফিস করার মতো কর্মচারী ছিলেন কার্যত হাতেগোনা। জরুরি পরিষেবার কারণে সল্টলেকে বিদ্যুৎ ভবনে উপস্থিতি নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়েছিল বলে দফতর সূত্রের খবর। বিকাশ ভবন, উন্নয়ন ভবন, পূর্ত ভবনে কর্মীদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম ছিল। কর্মীদের কত জন মিছিলে যোগ দিতে গিয়েছেন, তা অবশ্য কেউ স্পষ্ট করে বলতে চাননি।
পূর্ত ভবনে পেনশন সংক্রান্ত কাজে এসেছিলেন বারাসতের বাসিন্দা মানিক রায়। তিনি বললেন, “যে-কাজে এসেছিলাম, সেটি যিনি করবেন, তিনি আসেননি।” তবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত লোকজনের হাজিরা ঠিকঠাক ছিল বলে জানা গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার-সহ পদস্থ আধিকারিকদের বেশির ভাগই উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিন বিকাশ ভবন, বিদ্যুৎ ভবন, করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে নিত্যযাত্রীদের জন্য খাবার, চা-সহ নানা ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে বসেন হকারেরা। তাঁদের অনেককেই এ দিন শাসক দলের মিছিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy