প্রতীকী ছবি।
বন্দি পালানো রুখতে এ বার জেলের পাঁচিলে ‘সেন্সর’ বসাচ্ছে কারা দফতর। বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রথম এই প্রযুক্তি ব্যবহার হবে। ধাপে ধাপে রাজ্যের অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার-সহ বাকি জেলগুলিতেও এই ধরনের সেন্সর বসানো হবে বলে খবর।
কারা দফতর সূত্র জানাচ্ছে, ওই ‘সেন্সর’ বসানোর ফলে পাঁচিলে হাত দিলেই ঘণ্টি বেজে উঠবে। তাতে কারারক্ষীরা সজাগ হয়ে যাবেন। তিহাড় জেলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুফল মিলেছে।
সম্প্রতি তিহাড়ে গিয়ে সে কথা জানতে পারেন কারা-কর্তারা। তার পরেই এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কারা দফতরের খবর, ধাপে ধাপে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার ও প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জুন মাস নাগাদ আলিপুরের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের নতুন তৈরি হওয়া বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হবে। পরবর্তী কালে প্রেসিডেন্সি ও আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদেরও বারুইপুরে স্থানান্তরিত করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ মামলার বন্দিরা থাকায় বারুইপুরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা হচ্ছে।
ঘটনাচক্রে সম্প্রতি আলিপুর থেকে গভীর রাতে পাঁচিল টপকে তিন বাংলাদেশি বন্দি পালিয়ে গিয়েছিল। কারারক্ষীরা তা টের পাননি। পরবর্তী কালে পলাতকদের এক জন ফের ধরা প়ড়লেও দু’জন এখনও অধরা।
কারা-সচিব রাজ কানোজিয়া বলেন, ‘‘বারুইপুরে উন্নত প্রযুক্তির সেন্সরের সঙ্গে থাকবে সিসিটিভি। সংশোধনাগারে ঢোকা এবং বেরনোর উপরেও বাড়তি নজরদারি থাকবে।’’ কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, কোন বন্দির কোন আদালতে মামলা চলছে সেই অনুযায়ী, আলিপুরের বিচারাধীন বন্দিদের দমদম, হাওড়া, হুগলি সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy