দুর্গাপুরে বৈঠকে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
বর্ষার আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, গত বছর অবিভক্ত জেলার এই বৈঠক বর্ধমান শহরে হয়েছিল। এ বার দুই জেলার মাঝামাঝি বলে দুর্গাপুরে বৈঠক আয়োজিত হল।
এ দিন এডিডিএ-র বোর্ডরুমে সেচ দফতরের সচিবকে নিয়ে বৈঠকে যোগ দেন মন্ত্রী। তিনি জানান, দুই জেলার সেচ প্রকল্পের কাজের জন্য ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাতে সেতু মেরামত, ভাঙন রোধের কাজও হবে। ডিভিসি এবং কেন্দ্রীয় সরকার বাঁধ ও ক্যানাল সংস্কারে উদ্যোগী হয় না অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যকে বাধ্য হয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছে প্রায় দু’হাজার আটশো কোটি টাকা ঋণ নিয়ে কাজ করতে হবে। ঋণ শোধ করতে হবে রাজ্যকেই।’’ মন্ত্রী জানান, বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলি জেলা বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই প্রকল্পে তিন জেলায় বাঁধ নির্মাণ এবং সেচখাল সংস্কার করে জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে। এর ফলে নদীর বাড়তি জল সেচখালে ধরে রেখে তা পরে সেচের কাজে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি বন্যাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মন্ত্রী দাবি করেন, আগে সেচ দফতরের কাজের খরচের চার ভাগের তিন ভাগ বহন করত কেন্দ্র। অথচ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার তা কমিয়ে অর্ধেক করে দিয়েছে। রাজীববাবুর অভিযোগ, ‘‘অন্যায় ভাবে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। তার পরেও বকেয়া ২১৯ কোটি টাকা দেয়নি কেন্দ্র। নমামি গঙ্গে বা ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের টাকাও আসেনি।’’
গ্রিন ট্রাইবুন্যালের নির্দেশ মেনে রাজ্যের সব বালিঘাটের ই-টেন্ডার করেছে রাজ্য। এর ফলে রাজস্ব আগের থেকে বেড়েছে বলে দাবি করেন সেচমন্ত্রী। তবে বালিঘাট দখল বা বেআইনি বালির কারবারের অভিযোগ বারবার উঠছে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘জেলাশাসকদের বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি।’’ নতুন জেলায় আসানসোলে সেচ দফতরের আলাদা ডিভিশন গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সে জন্য অর্থ বরাদ্দও করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy