চুরি গিয়েছিল যে বাস। —নিজস্ব চিত্র।
বাসস্ট্যান্ড থেকে চুরি হয়ে গেল ট্যুরিস্ট বাস। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে এই ঘটনায় জোর শোরগোল। যদিও চুরির পরও শেষরক্ষা হল না। বাসে লাগানো ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএস দেখে চোরকে পাকড়াও করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বাসটিও।
বাস চুরির ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিল একটি ঝকঝকে ট্যুরিস্ট বাস। বাসের মালিক সুজয় খানের পারিবারিক পরিবহণের ব্যবসা। বিকেল ৪টে নাগাদ সুজয়ের এক বন্ধু তাঁকে ফোন করে তাকে জানান যে, তাঁদের ওই বাসটিকে আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। সুজয় তড়িঘড়ি অফিস থেকে বেরিয়ে পড়েন। তিনিও দেখেন বাস নেই। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁর জিপিএস ট্র্যাক করে জানার চেষ্টা করেন বাসটির অবস্থান কোথায়। তখন তিনি জানতে পারেন বাসটি নবদ্বীপের পথে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশও বাসটিকে উদ্ধার করতে তৎপর হয়। বেশ কিছু ক্ষণ পর নবদ্বীপ রেলস্টেশনের পাশে জোড়া ব্রিজের কাছে বাসটিকে দেখতে পায়। বাসটি চালাচ্ছিলেন সুরত শেখ নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, বাসটি চুরি করে চাকদহ যাচ্ছিলেন সুরত। তাঁর সঙ্গে কোনও বড় চক্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার চককাকমারি এলাকায়।
সুরতের গ্রেফতারি নিয়ে এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘আসলে চুরিতে হাত পাকালেও প্রযুক্তি নিয়ে কোনও জ্ঞান ছিল না অভিযুক্তের। বাসে যে জিপিএস লাগানো আছে, এবং সেটা কোথায় আছে, তা জানার জন্য পুলিশকে যে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না, সেটা কল্পনাও করতে পারেননি অভিযুক্ত।’’ তিনি জানান, শনিবার রাতেই বাসটির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। নবদ্বীপ রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হানা দিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে চোর এবং বাস— দুটোই পাওয়া যায়। ধৃতকে রবিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy