Advertisement
১৯ মে ২০২৪

প্রার্থী না মানলে শাস্তি, বার্তা তৃণমূলে

প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগেই দলের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে বুথ স্তর থেকে আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থীদের নাম ঠিক করা হয়েছে। কেউ বিরোধিতা করতে চাইলে তার শাস্তি নিশ্চিত।

কালনা ২ ব্লকে প্রার্থিতালিকা ঘোষণায় নেতারা। নিজস্ব চিত্র

কালনা ২ ব্লকে প্রার্থিতালিকা ঘোষণায় নেতারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা ও কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১০
Share: Save:

তাঁর পদ এ বার মহিলা সংরক্ষিত। তৃণমূল সূত্রের দাবি, তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, এ বার আর প্রার্থী হতে চান না। কিন্তু সোমবার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন তৃণমূল প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করতেই দেখা গেল, চেনা এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বিদায়ী জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু।

এ দিন কালনা ২ ব্লক কমিটির তরফে সব আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। শুরুতেই জানানো হয়, ১৯ নম্বর জেলা পরিষদের আসনে লড়বেন দেবুবাবু। আর তাঁর আগের বারের জেতা ২০ নম্বর আসনে লড়বেন কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান পূর্ণিমা সামন্ত। কালনা ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায় বলেন, ‘‘এলাকা এবং দলের স্বার্থে দেবুকে ফের প্রার্থী হতে হবে জানালে তিনি না করেনি। উনি জেলা পরিষদের সদস্য হিসাবে থাকলে এলাকার নানা বিষয় তুলে ধরতে পারবেন।’’ দেবুবাবু বলেন, ‘‘নিজেকে সবার আগে দলের কর্মী ভাবি। দল চেয়েছে প্রার্থী হয়েছি। ভোটে নিজেকে উজাড় করে দেব।’’

প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগেই দলের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে বুথ স্তর থেকে আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থীদের নাম ঠিক করা হয়েছে। কেউ বিরোধিতা করতে চাইলে তার শাস্তি নিশ্চিত। প্রণববাবুর কথায়, ‘‘যদি দেখা যায় দলের কোনও প্রার্থীকে দলের কেউ সহযোগিতা করছে না তাহলে নির্বাচন মেটার পরে সেই এলাকায় গিয়ে মাইক নিয়ে বলে আসবো, উনি দলের কেউ নন।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজ মাস তিনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। প্রতিটি আসনের জন্য তিনটি করে নাম বাছা হয়। তবে ৯০ শতাংশ জায়গায় তালিকায় থাকা প্রথম নামটিকেই দল প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে।

এ বার প্রার্থিতালিকা থেকে বাদ পড়েছেন কালনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আলমগীর সাত্তার। ব্লক কমিটির দাবি, বিদায়ী সভাপতি দলের সঙ্গে যোগাযোগ তেমন রাখতেন না। বাদ পড়েছেন বিদায়ী বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ দেবদাস বাগ ও খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ঋতব্রত কপ্তি। দলের যুক্তি, ওই দু’জন পঞ্চায়েতে দলের সভাপতির দায়িত্বে থাকায় তাঁদের নাম বিবেচনা করা হয়নি। পিণ্ডিরা পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা কপ্তি, অকালপৌষ পঞ্চায়েতের প্রধান অতসী ঘোষ ও আনুখালের প্রধান রীতা ঘোষকে প্রার্থী করা হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতিতে। কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুও কর্মীদের উন্নয়নের তালিকা নিয়ে প্রচারে নামতে বলেন। এ দিন কালনা ব্লকে দু’জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

কাটোয়ায় অবশ্য এ দিন কোনও দল মনোনয়ন তোলেনি। তৃণমূল ও বিজেপির দাবি, সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় নথি গোছানোর কাজ হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, তাদের মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে তা মানতে চায়নি শাসকদল। মঙ্গলকোটে তৃণমূল ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘‘আগের প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি পঞ্চায়েতে ৪০ শতাংশ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩০ শতাংশ আসনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নতুন মুখকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষেরও দাবি, ‘‘এলাকায় সুনাম থাকা পুরোনো কর্মীদের টিকিট দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

candidates TMC Punishment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE