ফরিদপুরের এই কার্যালয়ই দখল হয়েছিল বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
কার্যালয় দখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর তৈরি হল বিজেপি-তৃণমূলে। দুর্গাপুরের ফরিদপুরে মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের একটি কার্যালয় দখলের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব অবশ্য ওই কার্যালয় দল নেবে না বলে জানিয়ে দেন। ওই রাত থেকে কাঁকসাতেও বেশ কয়েকটি কার্যালয় বিজেপি জোর করে দখল করেছে অভিযোগ তৃণমূলের। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ভোটের ফল বেরোনোর পরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাই দল পাল্টে নিজেদের কার্যালয় রাতারাতি বদলে ফেলছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদপুর গ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ের দেওয়ালে মঙ্গলবার রাতে ঘাসফুলের প্রতীক রং দিয়ে ঢেকে দিয়ে বিজেপির প্রতীক ও নাম লিখে দেওয়া হয়। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা দেবাশিস মাজি অভিযোগ করেন, লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পরে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের কার্যালয় দখল করে। খবর পেয়ে ফরিদপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় বিজেপি নেতা নিরঞ্জন মণ্ডলের দাবি, ‘‘আমরা জোর করে অন্য দলের কার্যালয় দখল করি না। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। আবার দু’দলের মধ্যে অশান্তি ছড়ানোর জন্যও কেউ এমন করে থাকতে পারে। তবে বিজেপি এই কার্যালয় নেবে না।’’ এর পরেই তিনি অনুগামীদের নিয়ে সাদা রং করে বিজেপির প্রতীক মুছে দেন। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা নিরঞ্জনবাবুকে এমন সৌজন্যের জন্য শুভেচ্ছা জানান।
কাঁকসায় মঙ্গলবার রাত থেকে ২ নম্বর কলোনি, বনকাটি, মলানদিঘি, রণডিহা মোড়-সহ নানা এলাকায় তৃণমূলের কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠতে থাকে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের প্রতীক মুছে বিজেপির প্রতীক এঁকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আমাদের বহু অফিস জোর করে দখলের চেষ্টা করছে ওরা। প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’’ বিজেপি নেতা রমন সিংহ অবশ্য বলেন, ‘‘গলসি বিধানসভা এলাকা জুড়ে তৃণমূলের সবাই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তাঁরাই নিজেদের এলাকায় তৃণমূলের কার্যালয় বিজেপিতে বদলে নিচ্ছেন। দখলের কোনও প্রশ্ন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy