Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Anubrata Mandal

মুষড়ে অনুব্রত, কর্মীদের সঙ্গে হল না কথা

বিশেষ সংশোধনাগার থেকে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫৫ নাগাদ পুলিশের কনভয় আদালতে পৌঁছয়।

আসানসোল আদালত চত্বরে অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

আসানসোল আদালত চত্বরে অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

সুশান্ত বণিক
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৫
Share: Save:

অন্য বারের মতো বৃহস্পতিবারও ‘দাদা’র জন্য কয়েক জন অনুগামী উপস্থিত ছিলেন ঠিকই। কিন্তু বিচারক এজলাস ছেড়ে যাওয়ার পরে ‘দাদা’ অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যেমন খোশগল্প, রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হত, এ দিন তেমনটা হল না। কারণ, আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এজলাস থেকেই অনুব্রতকে আদালত থেকে বার করে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। কলকাতা হাই কোর্টে বুধবার অনুব্রতের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এ দিন আসানসোলে আদালত চত্বরে আসা ইস্তক খানিকটা মনমরাই দেখিয়েছে অনুব্রতকে, পর্যবেক্ষণ উপস্থিত লোকজনের একাংশের।

বিশেষ সংশোধনাগার থেকে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫৫ নাগাদ পুলিশের কনভয় আদালতে পৌঁছয়। অনুব্রতের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি ছিল না। তবে, অন্য বার আইনজীবী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ দেখা যায়, তা এ দিন ছিল না।

এ দিন অন্য দফার তুলনায় শুনানি-পর্বও ছিল সংক্ষিপ্ত। দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে মিনিট ৪৫ সওয়াল-জবাব চলে। আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য দিন শুনানি শেষে বিচারক নিজের ঘরে চলে যান। তখন কিছুক্ষণ এজলাসেই বীরভূম থেকে আসা অনুগামী ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ‘আলোচনা’ সেরে নেন অনুব্রত। সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নানা বার্তাও দিতে শোনা যেত তাঁকে। তবে এ দিন শুনানি শেষ হওয়া মাত্র অনুব্রতকে এজলাস থেকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। তবে তার মধ্যেও এক অনুগামীকে অনুব্রতের হাতে আদা গুঁজে দিতে দেখা যায়। সেই অনুগামীর পাশে থাকা এক জন আক্ষেপ করেন, “দাদার সঙ্গে আজ কথাই হল না।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর কোনও বার্তা রয়েছে কি না, আদালত থেকে বেরোনোর সময়ে অনুব্রতের কাছে জানতে চায় সংবাদমাধ্যমের একাংশ। অনুব্রত কোনও কথা না বলে পুলিশেরগাড়িতে উঠে যান।

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতের দেহরক্ষী, বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে থাকা সেহগাল হোসেনকেও ভার্চুয়াল ব্যবস্থায় বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে হাজির করানো হয় এ দিন। আইনজীবী শেখর কুণ্ডু এবং অয়নজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের মক্কেল সেহগালের জন্য জামিনের আবেদন করেননি। তবে আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক সেহগালের কাছে জানতে চান, তিনি কেমন আছেন। সেহগাল জানান, দিল্লিতে খুবই ঠান্ডা পড়েছে। তাঁকে আসানসোলে আনার ব্যবস্থা করা হোক। বিচারক তখন জানান, এ বিষয়ে তাঁর আইনজীবীরা আর্জি জানালে, তাঁদের এবং সিবিআই-এর বক্তব্য শুনে নির্দেশ দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anubrata Mandal TMC Asansol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE