Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

গোঁজ-কাঁটা তুলতে কড়া হতে পরামর্শ

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ব্লক স্তরের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অরূপবাবু। শনিবার সকাল থেকে রীতিমতো তালিকা ধরে কোন নেতার কত জন অনুগামী ‘গোঁজ’ হিসেবে দাঁড়িয়েছেন, তা জানান মন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামালপুর শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৮ ১০:১০
Share: Save:

জেলা জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থীর সংখ্যা ২৬২টি। তাদের বেশির ভাগই আবার তৃণমূলেরই গোঁজ বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। এই গোঁজ-কাঁটা তুলতে শনিবার বেশ কিছু দাওয়াই দিয়েছেন জেলার পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, খবর তৃণমূল সূত্রে।

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ব্লক স্তরের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন অরূপবাবু। শনিবার সকাল থেকে রীতিমতো তালিকা ধরে কোন নেতার কত জন অনুগামী ‘গোঁজ’ হিসেবে দাঁড়িয়েছেন, তা জানান মন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট নেতাদের লক্ষ করে বলা হয়, আজ রবিবার দুপুরের মধ্যে প্রচারপত্র ছড়িয়ে ওই গোঁজ প্রার্থীরা যেন সাধারণ মানুষের কাছে প্রার্থী প্রত্যাহারের বার্তা দেন। একই সঙ্গে ওই গোঁজদের দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নামারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। নির্দেশ অমান্য করলে দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে, এমন হুঁশিয়ারিও দেন মন্ত্রী। যে সব নির্দল প্রার্থী দলনেত্র্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে ভোট-প্রচারে নেমেছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্লক সভাপতি বা বিধায়কেরা যেন পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন, সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ হুডখোলা জিপে চড়ে র‌্যালি করেন অরূপবাবু। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ-সহ অন্য নেতারা।

কিন্তু গোঁজ-কাঁটা তুলতে জামালপুরে এমন সক্রিয় কেন তৃণমূল? দলীয় সূত্রেই জানা যায়, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে গোটা রাজ্যে যে ক’টি আসন দলীয় কোন্দলের জেরে হাতছাড়া হয়, তার অন্যতম এই জামালপুর। দলীয় সূত্রে খবর, এলাকায় প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক ও যুব নেতা মেহেমুদ খানের দীর্ঘদিনের বিবাদ। তাঁদের দ্বন্দ্ব মেটাতে রাজ্য থেকে জেলা নেতৃত্বকে বারবার বৈঠকও করতে দেখা গিয়েছে। এ দিন অবশ্য দুই নেতাকেই অরূপবাবুর সামনে হাত ধরাধরি করে প্রচার চালাতে দেখা গিয়েছে। ২০১৩-তে এই জামালপুরে বেশ কিছু গোঁজ প্রার্থী থাকলেও এ বার তা হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভার পরেই এলাকার দু’গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পর্যবেক্ষক। সেখানেই প্রার্থী কারা হবে, তা-ও ঠিক করে দেওয়া হয়। এ দিন যদিও উজ্জ্বলবাবু, মেহেমুদ বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে বিরোধ লাগানোর অনেক চেষ্টা হলেও বাস্তবে তেমন কিছু নেই।’’

জামালপুরের জৌগ্রাম থেকে চকদিঘি পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে চলে প্রচার-র‌্যালি। গোটা রাস্তা জুড়ে একমাত্র পার্বতীপুরে বিজেপি-র কিছু পতাকা ছাড়া আর কোথাও বিরোধীদের অস্তিত্ব তেমন নজরে পড়েনি। ওই রাস্তায় থাকা ছ’টি পঞ্চায়েতের চারটি, গোটা জামালপুরের ১৩টি পঞ্চায়েতের ২০৬টি সংসদের ১৫০টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৯-র মধ্যে ২৮টি আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। অরূপবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘উন্নয়নের জোয়ারে বিরোধীর দেখা নেই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE