—ফাইল চিত্র।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে, ওই দিন তাঁর দুর্গাপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে সভা করার কথা। কিন্তু, দুর্গাপুরে সভার মাঠ চেয়েও মিলছে না বলে অভিযোগ করলেন পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনায় পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছে বিজেপি।
জেলা বিজেপি সূত্রে জানা যায়, সভার জন্য প্রথম পছন্দ ডিএসপি টাউনশিপের রাজীব গাঁধী ময়দান। সেখানে একটি ধর্মীয় সংগঠনের অনুষ্ঠান রয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই অভিযোগ করেন, ‘‘ওই ধর্মীয় সংগঠনের অনুষ্ঠানের কথা বলে পুলিশ তৃণমূলের প্ররোচনায় প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য ময়দান ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে না। তবে ওই ধর্মীয় সংগঠনটি মাঠের একপাশে মণ্ডপ সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। আজ, শনিবার দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শহরে এসে সভাস্থল নির্দিষ্ট করবেন।’’
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ও পুলিশ কমিশনারেট। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভা কোথায় হবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও উৎসাহ নেই।’’
তবে এ দিন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, ‘‘শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের বিষয়ে লিখিত ভাবে কেউ কিছু জানাননি।’’ যদিও ইতিমধ্যেই বিকল্প হিসেবে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের নেহরু স্টেডিয়ামের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
৩ ফেব্রুয়ারি যে ধর্মীয় সংগঠনটির ওই রাজীব গাঁধী ময়দানে অনুষ্ঠান রয়েছে, তাদের সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা হলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্তা তাঁদের কর্মসূচির কথা জানান। তাঁদের দাবি, অনুষ্ঠানে অন্তত বেশ কয়েক হাজার লোক আসবেন। তাঁদের জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকেই রান্নাবান্না-সহ নানা আয়োজন শুরু করতে হবে। চলে আসবেন দূর থেকে আসা বহু ভক্তও। ইতিমধ্যেই ওই ময়দানে দু’টি প্যান্ডেল খাটানোর কাজও জোরকদমে চলছে।
এই পরিস্থিতিতে কমিশনারেটের একাধিক কর্তা জানান, ২ ফেব্রুয়ারিতেই ওই ময়দানে ভিড় জমার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ভিড় সামলে আইন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বেশ কঠিন বলেই মনে করছেন কমিশনারেটের কর্তাদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy