বিজেপির অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
অতিরিক্ত বালিবোঝাই ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে বুধবার রাতে দুর্গাপুরের লিঙ্ক রোডে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। ঘণ্টাখানেক পরে, পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা বললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে দুর্গাপুরে।
দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) থেকে ডিএসপি টাউনশিপ ও বেনাচিতির সরাসরি সংযোগকারী রাস্তা হল লিঙ্ক রোড। গোপালমাঠ, কাদারোড, মেনগেট-সহ লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা বেনচিতি বাজার যেতে, ডিএসপি টাউনশিপে যেতে ওই রাস্তাটিই ব্যবহার করেন। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে ও টিউশনে যায় ওই রাস্তা দিয়েই। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর থেকেই এই রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত বালিবোঝাই ট্রাক যাতায়াত করে। ফলে, রাস্তা ভাঙছে। তা ছাড়া, রাতে বিপদের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাঁদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে একটি বালির ট্রাকের পিছনের একটি চাকা খুলে যায়। কোনও রকমে উল্টে যেতে-যেতে আটকে যায় ট্রাকটি। ট্রাকের পিছনে আসছিলেন এক জন মোটরবাইক আরোহী। অল্পের জন্য বিপদ থেকে বাঁচেন তিনি। থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। ঘটনার খবর পেয়েই বিজেপির দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি পঙ্কজ গুপ্তের নেতৃত্বে দলীয় পতাকা হাতে ঘটনাস্থলে চলে আসেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। পঙ্কজবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল ও পুলিশের আঁতাঁতে দিনের পর দিন সূর্য ডুবতেই শুরু হয় অতিরিক্ত বালিবোঝাই ট্রাকের যাতায়াত। পুলিশের কাছে বারবার বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি।’’ এ দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ এলে, পুলিশকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। দাবি করে, নাকা চেকিংয়েরও। বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশকর্মীরা। তৃণমূলের অন্যতম জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ বালির কোনও অবৈধ কারবারে যুক্ত নন। এ সবই বিজেপির অপপ্রচার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy