এমনই ফ্লেক্স ঝুলছে মণ্ডপে। নিজস্ব চিত্র।
কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজবের জেরে গণপিটুনিতে প্রাণ গিয়েছিল দু’জনের। গুজব বিরোধী বার্তা দিতে পুলিশ-প্রশাসন তো মাঠে নেমেছিল, সঙ্গে হাতিয়ার করা হয়েছিল সেই সোশ্যাল মিডিয়াকেও। এ বার সরস্বতী পুজোর মঞ্চেও চলল সেই প্রচার।
কালনা শহর ও আশপাশের একাধিক ক্লাব নিজেদের মণ্ডপে পোস্টার, ফ্লেক্সে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে। বিসর্জনের শোভাযাত্রাতেও চলেছে প্রচার। সঙ্গে শুক্রবারই ওই গণপিটুনির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত সাগর সর্দার, শম্ভু দলুই এবং বাবু পালের বাড়ি যথাক্রমে আমলাপুকুর, বারুইপাড়া এবং শাসপুর এলাকায়।
কালনার সরস্বতী পুজোর জাঁক দেখতে বাইরে থেকে বহু লোকজন আসেন। সেদিক দিয়ে গুজব-বিরোধী প্রচার ছড়ানোর জন্য এই মঞ্চকেই বেছে নেয় প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২৬ জানুয়ারি বৈঠক করে ক্লাবগুলিকে নিজেদের মণ্ডপে গুজবের বিরুদ্ধে প্রচারে সামিল হওয়ার আবেদন জানানো হয়। সাড়া দেন প্রায় সকলেই। শহর ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ মণ্ডপের সামনে ঝুলছে বড় বড় ফ্লেক্স। তাতে সাধারণ মানুষকে ছেলেধরা ঘোরা বা জঙ্গি ঘোরার গুজবে কান না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। গুজবে প্রভাবিত হয়ে আইন হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশের কাছে যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও গোলক সমিতির মতো বেশ কিছু ক্লাব লাগাতার মাইকে প্রচার চালায়। চলে শহরকে নির্মল রাখা, প্লাস্টিক বর্জন, সেফ লাইভ সেভ ড্রাইভের মতো প্রচারও।
এমনকী, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ভাসানের শোভাযাত্রাতেও বেশ কিছু ক্লাব ও স্কুল নানা মডেলের মাধ্যমে গুজব বিরোধী এবং সরকারি নানা প্রকল্পের প্রচার শুরু করেছে। দিশারী নামে ছোটদের একটি স্কুল মডেলের মাধ্যেমে গুজবে কান না দেওয়ার কথা বলে। পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার ডায়মন্ড ক্লাবও শোভাযাত্রায় থার্মোকলের কাজের মধ্যে দিয়ে আইন হাতে তুলে না নিয়ে পুলিশের হাতে অভিযুক্তকে তুলে দেওয়ার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলে। মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, পুজোর দিনে লাগাতার গুজবের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে শহরের ক্লাবগুলি। পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগও বলেন, ‘‘একসঙ্গে অন্তত ৬০টি ক্লাব গুজব বিরোধী প্রচার করেছে। পুরসভা এদের তিনটি ক্লাবকে মানপত্র এবং পুরস্কার দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy