নিউ কেন্দার পাম্পহাউস। নিজস্ব চিত্র
ঠিকমতো পরিশোধন না হওয়ায় জলে মিশে থাকা নোংরার গন্ধ কাটে না। সেই জলই সরবরাহ করা হয় এলাকায়। ইসিএলের নিউ কেন্দা কোলিয়ারি এলাকার ইস্ট কেন্দা উড়িয়া-ধাওড়ার কাছে প্রায় পাঁচ বছর আগে তৈরি জল শোধনাগারটি সম্পর্কে এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।
এই শোধনাগার থেকে সরবরাহ করা জল ইস্টকেন্দা কলোনির কর্মী আবাসন ও লাগোয়া কেন্দা গ্রাম, চার নম্বর, মাটিধাওড়ার কয়েক হাজার পরিবার ব্যবহার করে বলে ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে। আগে নিউ কেন্দা কোলিয়ারির ঢোলবাঁধ পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির অপরিশোধিত জল পাম্পের সাহায্যে তুলে সরবরাহ করা হত। ২০১৫-য় দশ হাজার গ্যালন জলধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন শোধনাগারটি তৈরি করে ইসিএল। তার পরে পরিত্যক্ত ওই খোলামুখ খনির জলই শোধন করে সরবরাহ হয়।
কিন্তু এই জল সরবরাহ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নিউ কেন্দা কোলিয়ারির কেকেএসসি নেতা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, খনিকর্মী নির্মল সিংহদের অভিযোগ, ওই পরিত্যক্ত খনিতে এলাকার বিভিন্ন নর্দমার জল মেশে। ফলে, পরিশোধন ঠিকমতো না হওয়ায় বিপত্তি বাড়ে।
পরিশোধনাগারের সঙ্গে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মীরা জানান, সাধারণ ভাবে পাম্পের সাহায্যে তোলা জল পরিশোধন যন্ত্রের মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে শোধন করা হয়। পরে ‘ক্লোরিন যন্ত্রে’র সাহায্যে জলে নুন মেশাতে হয়। তা না হলে জলে দুর্গন্ধ থেকে যায়। ওই কর্মীদের অভিযোগ, প্রতি দিন তিন-চার কেজি নুন প্রয়োজন। কিন্তু নিয়মিত, ঠিক পরিমাণে তা সরবরাহ করে না ইসিএল, অভিযোগ ওই কর্মীদের। এ ছাড়া, এলাকাবাসীর অভিযোগ, শোধনাগারের জলাধারগুলিও সাফাই হয় না। ফলে, জলাধারে কাদা রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, সরবরাহ করা এই জল পানযোগ্য নয়। এক সময়ে এই জলের কারণে পেটের রোগ ছড়িয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে জল ফুটিয়ে পান করতে হয়। এ ছাড়া, এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপলাইন থাকলেও তা থেকে জল মেলে অপর্যাপ্ত। ফলে, অনেককেই জল কিনেও খেতে হয় বলে দাবি।
তবে কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই অভিযোগ লিখিত ভাবে কেউ জানাননি। জানালে পদক্ষেপ করা হবে। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy