Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

দুর্ঘটনা এড়াতে আন্ডারপাসের দাবি দুই মোড়ে

চার লেনের রাস্তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে প্রায়শই। সম্প্রসারণের পরে রাস্তা হয়ে যাবে ছ’লেনের। রাস্তা পারাপারে তখন সমস্যা আরও বাড়বে, দাবি অন্ডাল গ্রাম ও দুবচুরুরিয়ার বাসিন্দাদের। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের মোড়ে এই দুই গ্রামে আন্ডারপাস তৈরির আর্জি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে এই দাবির কথা জানানো হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে।

এখানেই গড়ার দাবি। নিজস্ব চিত্র

এখানেই গড়ার দাবি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
অন্ডাল শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৭ ০২:১৩
Share: Save:

চার লেনের রাস্তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে প্রায়শই। সম্প্রসারণের পরে রাস্তা হয়ে যাবে ছ’লেনের। রাস্তা পারাপারে তখন সমস্যা আরও বাড়বে, দাবি অন্ডাল গ্রাম ও দুবচুরুরিয়ার বাসিন্দাদের। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের মোড়ে এই দুই গ্রামে আন্ডারপাস তৈরির আর্জি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে এই দাবির কথা জানানো হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ডালে ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও দুবচুরুরিয়া মোড়ের মাঝে জাতীয় সড়কের প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশে এক দিক থেকে অন্য দিকে যেতে হলে রাস্তার উপর দিয়েই পেরোতে হয়। এই অংশে রাস্তার এক দিকে রয়েছে অন্ডাল ও দুবচুরুরিয়া গ্রাম মো়ড়। অন্য দিকে তামলা গ্রাম। এখন এই রাস্তা সম্প্রসারণ হচ্ছে। বাসিন্দাদের দাবি, গত এক বছরে অন্ডাল গ্রাম মোড়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে ছ’টি, মৃত্যু হয়েছে এক জনের। ছ’লেনের রাস্তা চালু হলে যানবাহন আরও দ্রুত ছুটবে, দুর্ঘটনাও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাঁদের।

তামলার বাসিন্দা করুণাময় পাল বলেন, ‘‘আমাদের রেশন আনতে রাস্তা পেরিয়ে দুবচুরুরিয়া গ্রামে যেতে হয়। বয়স্করা অসুবিধায় পড়েন সবচেয়ে বেশি। অনেক পড়ুয়া অন্ডাল ও গোপালমাঠে হাইস্কুলে পড়তে যায়। তারা বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত অভিভাবকেরা উদ্বেগে থাকেন।’’ অন্ডাল গ্রামের বাসিন্দা অরূপ চট্টোপাধ্যায়, লালু নায়েকরা জানান, দুর্গাপুরের বাস ধরতে হলে তাঁদের রাস্তার উল্টো দিকে যেতে হয়। আবার আসানসোলের দিকে যাওয়ার বাস ধরতে উল্টো পারের যাত্রীদের আসতে হয় অন্ডাল গ্রামের দিকে। তাঁদের দাবি, আন্ডারপাস না হলে এই পারাপার ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

বাসিন্দারা তাঁদের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতে। অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজু রায় জানান, গ্রামবাসীদের একাংশের বাধায় জাতীয় সড়কের দু’পাশে সার্ভিস রোড ও প্রধান সড়কের মাঝে ডিভাইডার ও দেওয়ালের কাজ সড়ক কর্তৃপক্ষ বন্ধ রেখেছেন। কারণ, আন্ডারপাস না করে এই কাজ করা হলে রাস্তা পেরোতে সমস্যায় পড়বেন গ্রামবাসীরা। আবার পথ-নিরাপত্তার স্বার্থে দেওয়াল প্রয়োজন।

প্রধান বলেন, ‘‘জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, অন্ডাল গ্রাম মোড় ও দুবচুরুরিয়া গ্রাম মোড়ের কাছে দু’টি কালভার্ট আছে। সেগুলির উচ্চতা বাড়িয়ে দু’টি আন্ডারপাস তৈরা করা হোক।’’ আপাতত পরিকল্পনায় না থাকলেও আবেদন বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।

অন্য বিষয়গুলি:

Underpass Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE