—নিজস্ব চিত্র।
ভাগীরথীতে কুমির আতঙ্ক। শনিবার সকালের দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা কুমিরের মতো দেখতে একটি প্রাণীকে নদীর ধারে দেখতে পান। নদীতে কুমির ঘুরছে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নদী তীরবর্তী এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। যার জেরে আতঙ্কে নদীর ওই ঘাটে স্নান করতে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না কেউ। কুমির দেখার জন্য নদীর ঘাটে ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকেলে কাটোয়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় কাশীগঞ্জ ঘাটের কাছে ওই প্রাণীটিকে দেখা যায়। কুমিরের খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
কাটোয়ার বন দফতরের কর্মী সমীর হাজরার দাবি, এটি কুমির নয়। ঘড়িয়াল। এরা মানুষের ক্ষতি করে না। ঘড়িয়াল খাবারের আশায় নদীর একই জায়গায় অনেকক্ষণ থাকে। নদী তীরবর্তী কাটোয়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাশীগঞ্জ পাড়ার ঘাটের কাছে ভাগীরথীর কয়েকশ মিটার এলাকা জুড়ে সকাল থেকে একটা কুমির ঘুরছে— এই খবর জানাজানি হতেই লোকজনের ভিড় বাড়তে শুরু করে। প্রায় সাড় তিনফুট থেকে চার ফুট লম্বা প্রাণীটি নদীর কিছুটা এলাকা জুড়ে ঘুরছে দেখে এলাকার মানুষেরা আতঙ্ক ছড়ায়। কারণ প্রাণীটি যেখানে ঘুরছিল, তার কিছুটা দূরেই স্নানের ঘাট। কুমির দেখতে নদীপাড়ে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। কাটোয়া বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে প্রাণীটিকে দেখে বলেন, ‘‘এটা ঘড়িয়াল। এই জায়গায় খাবার আছে বলে এখানেই ঘুরছে। ভয়ের কিছু নেই। তবুও ঘড়িয়ালের গতিবিধির উপর নজরদারি করতে দু’জন বন দফতরের কর্মী ডিউটি শুরু করেছেন। কাটোয়া থানার তরফ থেকে ঘড়িয়ালের উপর নজর রাখতে নদী তীরবর্তী এলাকায় পাহারাদার মোতায়েন করা হয়েছে।’’
বন দফতরের কাটোয়া রেঞ্জের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিন্হা বলেন, ‘‘ওটি আসলে একটি মেছো ঘরিয়াল। কী ভাবে ভাগীরথীতে এল, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। ওটি উদ্ধার করে নির্দিষ্ট জায়গায় ছেড়ে দিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy