ঘটনাস্থলে বারাবনি থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
হার্ডওয়্যারের দোকানের ড্রাম থেকে তরল রাসায়নিক নর্দমায় পড়তেই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল আগুন। এলাকাবাসীর চেষ্টা সত্ত্বেও প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলতেই থাকে। শুক্রবার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় আসানসোলের একটি স্থানীয় বাজারে। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। এই ঘটনায় এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই তরল রাসায়নিকে কী রয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে আসানসোলের বারাবনির দোমাহানি বাজার এলাকায় একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের ড্রাম খোলার সময় বিপত্তি ঘটে। ওই ড্রাম থেকে তরল রাসায়নিক পড়ে নর্দমায়। নিমেষের মধ্যেই ওই নর্দমায় আগুন জ্বলে ওঠে। এলাকার লোকজন বালি ও মাটি চাপা দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও মতেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারাবনি থানার পুলিশ এবং দমকল। অবশেষে ওই নর্দমার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা।
ওই রাসায়নিকের মধ্যে কী এমন ছিল যাতে আগুন জ্বলে উঠল, সে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। দীপালি রুজ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা জানি না, ড্রামের ভিতরে কী রাসায়নিক ছিল! তবে নর্দমায় তা পড়ার পর প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলছিল।’’ এই ঘটনায় ওই দোকানের এক মালিক সোমনাথ হালদারকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপীনাথ এবং সোমনাথ হালদার নামে দুই ভাই ওই দোকানের মালিক। তাঁদের মধ্যে সোমনাথকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক করা হয়েছে। মূলত জল রাখার পাত্র তৈরি করা হয় ওই দোকানে। সেই জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে বড় বড় ড্রাম কিনে ওই দোকানে নিয়ে আসা হত। তবে শুক্রবার যে ড্রামগুলি খোলা হচ্ছিল, তার গায়ে কালো কালি দিয়ে দাগ কাটা ছিল। কী কারণে সেই রকম দাগ কাটা ছিল, তা নিয়ে সন্দিহান তদন্তকারীরা। ওই ড্রামে কী রাসায়নিক ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। দোকানের কাগজপত্র বৈধ কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy