রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের রাস্তা আটকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কুলটিতে। রবিবার রাতে গুলিটি তাঁর পাশে থাকা সঙ্গীর কান ছুঁয়ে চলে যায় বলে কাউন্সিলর খালেদ খান জানান। কী কারণে দুষ্কৃতীরা চড়াও হল, সে নিয়ে ধন্দে কাউন্সিলর। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ জানায়, দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কুলটির বালতোড়িয়ায় ঘটনাটি ঘটে। আসানসোল পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঙ্গী রাহুল দত্তকে নিয়ে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি অভিযোগে করেন, বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে জনা কয়েক দুষ্কৃতী তাঁদের আটকায়। তাঁকে লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয়। তিনি দ্রুত মাথা নামিয়ে নেওয়ায় গুলি লাগেনি। কিন্তু রাহুলের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় গুলিটি।
কাউন্সিলরের অভিযোগ, ‘‘ওরা আমাদের রাস্তা আটকে যথেচ্ছ গালিগালাজ করছিল। আমি প্রতিবাদ করতেই এক জন রিভলবার বের করে গুলি চালায়। প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও তার পরে চিৎকার করি। আশপাশের লোকজন বেরিয়ে এলে ওরা পালিয়ে যায়।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই দুষ্কৃতীরা এলাকায় বেআইনি কয়লা ও বালির কারবারে যুক্ত। তিনি এ সবের প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। দলের কাউন্সিলরের উপরে হামলার ঘটনা নিয়ে বিশদ খোঁজ নেন কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বলবাবু।
সোমবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাসিন্দারা ঘটনার পরে আতঙ্কিত। তাঁদের দাবি, জনবহুল এই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটলে রাস্তায় চলাফেরা করা মুশকিল। যদিও এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে কয়েকজন আত্মীয়ের বিবাদ চলছে। আগেও দু’পক্ষের গোলমাল বেধেছে এলাকায়। পারিবারিক সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা হয়েছে বলে তাঁদের অনুমান।
যদিও কাউন্সিলর বলেন, ‘‘পারিবারিক বিবাদ নয়, এটা একেবারেই দুষ্কৃতী হামলা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy