Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Mines

Mine: ১১ ঘণ্টা পরে খনি থেকে উদ্ধার তরুণ

রাত ৮টা নাগাদ ইসিএলের উদ্ধারকারী দল ওই তরুণকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে।

চলছে উদ্ধারকাজ।

চলছে উদ্ধারকাজ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:২৬
Share: Save:

প্রায় ১১ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হল ইসিএলের পরিত্যক্ত ভূগর্ভস্থ খনিতে ‘পড়ে যাওয়া’ এক তরুণকে। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার শ্রীপুর দু’নম্বর কোলিয়ারি এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ ওই তরুণকে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৪০ ফুট নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। সে সুস্থ আছে।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া, বছর ১৬-র ওই তরুণ মামার বাড়িতে থাকে। সে অদূরে পরিত্যক্ত খনিমুখে ‘ঝাঁপ দিয়েছে’ বলে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এলাকায় খবর ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ, ইসিএলের প্রতিনিধি, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রতিনিধিরা। রাত ৮টা নাগাদ ইসিএলের উদ্ধারকারী দল ওই তরুণকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে।

শ্রীপুর ভূগর্ভস্থ কোলিয়ারি দু’দশক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেখানে যাতে কেউ যেতে না পারে, সে জন্য পরে ভূগর্ভে নামার খনিমুখ ১২ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এখন ওই এলাকা ঝোপঝাড়ে ভরা। তা হলে, শ্রীপুরের ওই তরুণ সে পাঁচিল পেরোল কী করে? প্রাথমিক তদন্তের পরে ইসিএলের অনুমান, সম্ভবত দুষ্কৃতীরা পাঁচিলের একাংশ গোল করে কেটে ভিতরে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করেছে। ওই তরুণ সে পথে খনিমুখে পৌঁছে ‘ঝাঁপ’ দিয়ে থাকতে পারে বা পড়ে গিয়ে
থাকতে পারে।

বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও ইসিএলের উদ্ধারকারী দলের দু’জন কর্মী সোমবার রাত ৯টা নাগাদ প্রায় ৭০ ফুট নীচে নামার পরে, উঠে আসেন। অভিযোগ, ফিরে যান বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রতিনিধিরাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তখন স্থানীয় দুই যুবক ওই তরুণকে তুলে আনবেন বলে জানান।

ইসিএলের উদ্ধারকারী দলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট অপূর্ব ঠাকুর জানান, এই খনিমুখ প্রায় ১,৮০০ ফুট গভীর। ওই তরুণ প্রায় ১৪০ ফুট নীচে থাকা দু’টি পাইপে আটকে ছিল। কোমরে ‘সেফটি বেল্ট’ বেঁধে স্থানীয় দুই যুবককে ক্রেনের সাহায্যে ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ নীচে পাঠানো হয়। তাঁরা সকাল ৬টা নাগাদ ওই তরুণকে নিরাপদে উপরে তুলে আনেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে অপূর্ব দাবি করেন, “আমাদের উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা আবার নামতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় দুই যুবক উদ্ধার করতে চাওয়ায়, তাঁদের নামানো হয়েছিল। তাতে অসুবিধা নেই। কারণ, তদারক আমরাই করেছিলাম।”

ওই তরুণের মামা জানান, তাঁর ভাগ্নের মানসিক সমস্যা আছে। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে দেখতে না পেয়ে, খোঁজ শুরু করা হয়। পরে, খনিমুখের কাছে তরুণের জামা পড়ে থাকতে দেখা যায়। নাম ধরে ডাকতেই সে সাড়া দেয়। ওই তরুণ বলে, “কী ভাবে ওখানে পড়ে গেলাম, বুঝতে পারছি না!” তার মামা বলেন, “ভাগ্নেকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য
সকলকে ধন্যবাদ।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mines rescue
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE