বিকল্প চাষ হিসেবে এ বারই প্রথম পূর্বস্থলীতে সূর্যমুখী চাষ করেছিল কৃষি দফতর। সাফল্য দেখে কর্তাদের দাবি, চাষের এলাকার আরও বাড়বে।
বিকল্প চাষ হিসাবে ডাল ও তৈলবীজ জাতীয় ফসলের এলাকা বাড়ানোর চেষ্টা করছে কৃষি দফতর। সেই সূত্রেই পূর্বস্থলী মৌজার ২০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করা হয়। ‘আত্মা’ ও ‘ন্যাশনাল মিল ফর অয়েল সিড অ্যান্ড অয়েল পাম্প’ নামে দু’টি প্রকল্পে আট জন চাষিকে নিয়ে শুরু হয় এই চাষ। বীজ-সহ চাষের প্রয়োজনীয় সামগ্রীও চাষিদের দেওয়া হয়। কী ভাবে চাষ হবে, বিশেষজ্ঞরা সে বিষয়ে জানান চাষিদের।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গাছে ফুল এসেছে। বিশেষজ্ঞদের একটি দল সম্প্রতি এলাকা পরিদর্শনও করেন। পূর্বস্থলী ২-এর কৃষি আধিকারিক জনার্দন ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘এলাকার মাটিতে সূর্যমুখীর চাষ দারুণ ভাবে সফল। বিঘে প্রতি দু’ক্যুইন্টালেরও বেশি ফলন মিলতে পারে। আশা করি, আগামী দিনে এই চাষের এলাকা আরও বাড়বে।’’
প্রথম বার এই চাষ করে খুশি স্থানীয় চাষি উৎপল ঘোষ, জীবন ঘোষ, নিমাই সাহারও। তাঁরা বলেন, ‘‘চাষে খুব একটা খরচ নেই। ভাল ফলনও মিলছে। বিক্রির অসুবিধা না হলে আরও জমিতে এই চাষ করব।’’ তবে চাষ করতে গিয়ে কিছু সমস্যাও হতে পারে বলে চাষিদের দাবি। কী রকম? এক চাষি জানান, ফড়েদের কাছে এই চাষের বীজ মেলে না। তা ছাড়া সূর্যমুখী তেল তৈরির কল নেই বর্ধমানে। সূর্যমুখী থেকে তেল তৈরির একমাত্র কলটি রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। যদিও সর্ষে থেকে যেখানে ২০-২৫ শতাংশ তেল মেলে, সেখানে সূর্যমুখী থেকে মেলে ৪২-৪৩ শতাংশ তেল। জনার্দনবাবু জানান, এলাকায় সূর্যমুখী তেল তৈরির যন্ত্রাংশ আনানোর চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy