Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Suicide

পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল বন্ধুর, মঙ্গলকোটে শোকে আত্মঘাতী যুবক

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তীর্থ ঘোষ (৩২)। গত মঙ্গলবার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ওই যুবকের প্রতিবেশী এবং বাল্যবন্ধু গৌরহরি নাগের। পরিবারের দাবি, বন্ধুর মৃত্যুর পর থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন যুবক।

image of body

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪ ২২:০৬
Share: Save:

বন্ধুর মৃত্যুশোকে আত্মঘাতী হয়েছেন এক যুবক! পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার ষাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। রবিবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তীর্থ ঘোষ (৩২)। গত মঙ্গলবার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ওই যুবকের প্রতিবেশী এবং বাল্যবন্ধু গৌরহরি নাগের। পরিবারের দাবি, বন্ধুর মৃত্যুর পর থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন যুবক।

একটি জুতোর দোকান চালাতেন তীর্থ। তার দাদা পার্থ ও বাবা কাশীনাথ চাষাবাদ করেন। মা অণিমাদেবী গৃহবধূ। রবিবার সকালে বাবা-মা ছেলেকে ঘুম থেকে তুলতে যান। তখনই দেখেন, সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে তীর্থের দেহ। গলায় গামছার ফাঁস। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তীর্থদের বাড়ির অদূরে পাঁচুগোপাল নাগের বাড়ি। তাঁর একমাত্র ছেলে গৌড়হরি এবং তীর্থ ছোট থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। গত ১৩ মার্চ ষাঁড়ি গ্রামের মোড়ের কাছে গৌড়হরিকে বেপরোয়া একটি বাইক ধাক্কা দেয়। সঙ্গে ছিলেন তীর্থ। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। ওই দিন রাতেই জখম গৌরহরিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। তার পর তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার মৃত্যু হয় গৌরহরির। তীর্থের দাদা পার্থ বলেন, ‘‘গৌরের দুর্ঘটনার পর থেকে ভাই তাঁর সঙ্গ ছাড়েনি। হাসপাতালে ছিল। গৌর মারা যাওয়ার পর থেকেই তীর্থ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেয়। ঘর থেকে বার হতে চাইছিল না। অনেক বোঝানোর পরেও ভাই আর স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারল না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suicide Dead
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE