মহম্মদ সেলিম। —ফাইল চিত্র
সিটুর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্মেলন শেষ হয়েছে রবিবার। সম্মেলনের শেষ দিন কাঁকসার পানাগড় হিন্দি হাইস্কুল ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সেখান থেকে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের নানা নীতির কড়া সমালোচনা করেন। পাশাপাশি, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের বিলগ্নিকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি সরব হন।
সিটু নেতৃত্বের অভিযোগ, জেলার কয়লা-ক্ষেত্র, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কর্সের (সিএলডব্লিউ) বিলগ্নিকরণের চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার শেয়ার বিক্রির কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেন সিটু নেতৃত্ব। সেই সব প্রসঙ্গ টেনে সেলিম বলেন, ‘‘নতুন কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প তৈরি না করে, যে সংস্থাগুলি আছে সেগুলির বিলগ্নিকরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্যাঙ্ক, বিমা, কয়লা-সহ সব শিল্প ক্ষেত্রে এই চেষ্টা চলছে। শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে না।’’ পাশাপাশি, নয়া নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) মাধ্যমে ‘বিভাজনের রাজনীতি’ করছে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি, এমন অভিযোগও করেন সেলিম।
সেই সঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি ‘আঁতাঁতের’ অভিযোগ করেন সেলিম। পাশাপাশি, বাম আমলে তৈরি পানাগড় শিল্পতালুকে তৃণমূলের আমলে কেন কোনও শিল্প এল না, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
যদিও সেলিমের এ সব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলি। কাঁকসার বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, ‘‘বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ধুঁকছে। সেগুলি বাঁচানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বামপন্থীরা।’’ দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নতুন অনেক কারখানা হয়েছে। এটা বোধহয় বামপন্থীরা বোধহয় দেখতে পারছেন না। গত লোকসভা ভোটে সিপিএমের ভোট বিজেপি-তে গিয়েছে। এর পরেও ওঁরা আঁতাঁতের মতো ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলেন কী করে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy