কালনায় শোভাযাত্রা। নিজস্ব চিত্র।
সরস্বতী পুজোর শেষ দিন, শনিবার কালনা শহরে শোভাযাত্রা করল বেশ কিছু ক্লাব। নানা রকম বাজনা, মডেল ও আলোয় সাজানো বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা দেখতে সন্ধ্যের পর থেকেই মানুষের ঢল নামল রাস্তায়। বহু ক্লাবই মন জয় করল দর্শকের।
এ দিন সকাল থেকে কালনা কলেজ চত্বরে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেল ক্লাব ডায়মন্ডকে। ভারতমাতা, শ্রীচৈতন্য, অক্ষরধাম মন্দির-সহ বেশ কিছু মডেল তৈরি করে তোলা হয় ভ্যানে। দুপুরে ওড়িশার শিঙা বাদকেরাও যোগ দেন। এ ছাড়াও তাসা, ঢোল, ঢাকের মতো নানা বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে ৩২ জনের একটি ছৌ নাচের দলও দেখা যায়। শান্তিপুর ও চন্দননগরের বিভিন্ন আলোর মডেল দৃষ্টি কাড়ে দর্শকদের। ক্লাবের সদস্য সুমন প্রামাণিক বলেন, “শোভাযাত্রাও সরস্বতী পুজোর অঙ্গ। মানুষ দেখে আনন্দ পান, এতেই আমরা খুশি।”
এ বার ২৫ বছরে পা দিয়েছে লায়ন ক্লাবের পুজো। এদের শোভাযাত্রায় ফুটিয়ে তোলা হয় সমাজ সচেতনেতা মূলক নানা বিষয়। মডেলের মাধ্যমে দেখানো হয় গাছ, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কতটা জরুরি। এ ছাড়াও বাংলার বাউল গান, ২০২৩ সালে নেপালের ভূমিকম্প, চন্দ্রযান, অযোধ্যার রামমন্দির-সহ বিভিন্ন মডেল ছিল শোভাযাত্রায়। ছিলেন মুম্বইয়ের নাসিক থেকে আসা ঢোল বাদকেরা। এ ছাড়াও ছিল রণপা, শিঙা, ব্যান্ড ইত্যাদি। এই শোভাযাত্রার সামনে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে লেখা ছিল “ধর্ম যার যার
উৎসব সবার।”
সন্ধ্যায় এই দুই শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন পুজোর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তথা কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। ঐকতান ক্লাব, কল্পনা সমিতি, ১৬ পল্লী মহিলা সমিতির শোভাযাত্রাও দর্শকদের নজর কেড়েছে। কালনা শহরের বাসিন্দা অনুপ কর্মকার, পূর্ণিমা ঘোষরা বলেন, “অতিমারীর পর থেকে শোভাযাত্রার জৌলুস কমে গিয়েছিল। এ বার বেশ কয়েকটি ক্লাব বড় শোভাযাত্রা করেছে। মানুষ আনন্দ পেয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy