ভাতারের কুলনগরের বাসিন্দাদের সঙ্গে সাংসদ। নিজস্ব চিত্র
সাত দিন আগেই সাংসদ ‘নিখোঁজ’ বলে পোস্টার পড়েছিল। রবিবার দুপুরে ভাতারে কুলনগরে হাজির হলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টা কথা বলেন তিনি। বর্ধমান শহর লাগোয়া বাম গ্রামে একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা দেখতে যান। তৃণমূলের কটাক্ষ, সশরীরে হাজির হয়ে সাংসদকে প্রমাণ করতে হয়েছে, তিনি ‘নিখোঁজ’ নন।
বিজেপি সূত্রে জানা যায়, তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজে গিয়ে ৩০ অক্টোবর রাতে সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভাতারের কুলনগরের সোনামনি সোরেনের (২৮)। সে খবর শোনার পরে তাঁর দেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনা, সৎকারে যাবতীয় উদ্যোগী হন সাংসদ। বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ তায়ের দাবি, ‘‘ওই গ্রামের আরও ১৫ জন তামিলনাড়ুতে কাজে গিয়েছিলেন। তাঁদেরও সাংসদ নিজের উদ্যোগে ফিরিয়ে এনেছেন।’’
এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ কুলনগর গ্রামে গিয়ে মৃতের পরিবার ও অন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ। কেন গ্রাম ছেড়ে ভিন্ রাজ্যে যেতে হচ্ছে, সেই প্রশ্ন করেন। ওই শ্রমিকদের দাবি, ১০০ দিনের কাজ প্রায় দু’বছর বন্ধ। বকেয়া মজুরিও মিলছে না। কাজের খোঁজেই তাঁরা ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। সাংসদ তাঁদের আশ্বাস দেন, মৃতের পরিবার যাতে দ্রুত সরকারি সাহায্য পান, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। মৃতের দুই নাবালক সন্তানের পড়াশোনা, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর চিকিৎসায় সাহায্যের আশ্বাসও দেন।
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর কটাক্ষ, ‘‘কেন্দ্র কেন প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, সেই জবাব তো সাংসদকে দিতে হবে। এড়িয়ে গেলে চলবে না। এখন হঠাৎ ভাতারে এসে তিনি নিখোঁজ নন, সেটাই কি প্রমাণ করতে চাইছেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy