আড়াই মাস ধরে নিঁখোজ ভিন্ রাজ্যের এক নাবালককে পরিবারের হাতে তুলে দিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। কেন্দ্রীয় সরকারের অপারেশন মুসকান প্রকল্পের অধীনে কাজ করতে গিয়েই ওই নাবালকের খোঁজ মেলে।
গোয়েন্দা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, দিন দশেক আগে কাজোড়ার চিতাডাঙার একটি হোটেলে ওই নাবালককে কাজ করতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছর বারোর ওই নাবালক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। সে বিহারের নালন্দা জেলার নগরলোসা থানার টিনালোদিপুরের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মিথিলেশ পাসোয়ান। এরপরেই পুলিশ কমিশনারেটের তরফে নালন্দা জেলার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
বাড়িতে খবর গেলে শুক্রবার কাজোড়ার হোটেলে পৌঁছন ওই নাবালকের বাবা। সেখানেই ছেলেকে তাঁর হাতে তুলে দেন পুলিশকর্তারা। ছেলেকে পেয়ে খুশি পেশায় খেত মজুর মিথিলেশবাবু। তিনি জানান, আড়াই মাস আগে ছেলেকে জমি মালিকের বাড়িতে ধান পৌঁছতে বলেছিলেন। তাতে ওই নাবালক রাজি হয়নি। এর ফলে বাড়িতে বকাবকিও করা হয় ওই ছেলেটিকে। মিথিলেশবাবু হিন্দিতে বলেন, ‘‘হয়তো অভিমান হওয়াতেই ও বাড়ি ছাড়ে।’’ তবে তারপরে তিনি পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেননি।
ছেলেটি কী ভাবে চলে আসে কাজোড়ায়? নাবালকের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, সে বাড়ি থেকে প্রথমে পটনা পৌঁছয়। পরে পটনা রোডে এক লরিচালকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তার সঙ্গেই কাটিয়ে দেয় প্রায় কুড়ি দিন। পরে ওই লরি চালকের সঙ্গে কলকাতা আসার জন্য রওনা দেয় সে। পথে কাজোড়ায় নেমে পড়ে সে। সেখানেই এক হোটেল মালিকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। দিন কয়েকের মধ্যে কাজও জুটিয়ে ফেলে সেই হোটেলে।
তবে এখন সে বাড়ি ফেরার আনন্দে মশগুল। তার কথায়, ‘‘বাবাকে দেখে খুব আনন্দ হচ্ছে। দ্রুত বাড়ি যেতে ইচ্ছে করছে।’’
তদন্তকারীদের তরফে মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট কেন্দ্রীয় সরকারের অপারেশন মুসকান প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। ওই প্রকল্পেরই অঙ্গ হিসেবে এলাকায় নিয়মিত ভাবে শিশু শ্রম, নিখোঁজ নাবালক প্রভৃতি বিষয়ে নিয়িমত ভাবে খোঁজ রাখা হয়। সেই সূত্রেই বিহারের ওই নাবালকের খোঁজ মেলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy