Advertisement
১৩ জুন ২০২৪

নির্দেশের পরেও ভাঙা হয়নি মোবাইল টাওয়ার

 আদালতের নির্দেশে অনুমোদিত নকশার বাইরে বসানো মোবাইল টাওয়ার ভেঙে দিতে বলেছিল পুরসভা। সেই নির্দেশ মানা তো দূর, বর্ধমানের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাসকি মহল্লায় নতুন করে আরও একটি টাওয়ার বসানোর উদ্যোগ চলছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

সেই টাওয়ার। নিজস্ব চিত্র

সেই টাওয়ার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩৭
Share: Save:

আদালতের নির্দেশে অনুমোদিত নকশার বাইরে বসানো মোবাইল টাওয়ার ভেঙে দিতে বলেছিল পুরসভা। সেই নির্দেশ মানা তো দূর, বর্ধমানের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাসকি মহল্লায় নতুন করে আরও একটি টাওয়ার বসানোর উদ্যোগ চলছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

বর্ধমানের পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত বলেন, ‘‘ওই এলাকার বাসিন্দা সুব্রতকুমার বিশ্বাসের বাড়িতে মোবাইলের টাওয়ার বসানো হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই টাওয়ার ভাঙার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। তিনি টাওয়ার ভাঙেননি।’’ সুব্রতবাবুর দাবি, মোবাইল সংযোগকারী সংস্থা পুরসভার কাছে অনুমোদন নিয়েই টাওয়ার বসিয়েছে। সে কথা মেনে নিলেও পুর-কর্তাদের পাল্টা বক্তব্য, সুব্রতবাবু পুরসভার কাছে বাড়ির নকশা পরিবর্তন করেননি, তেমনই টাওয়ার বসানোর জন্য কোনও অনুমোদনও নেননি। সে জন্যই ওই বাড়িতে থাকা টাওয়ার ভাঙার ব্যাপারে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, ২০১৩ সালের অগস্টে তাঁদের পড়শি সুব্রতবাবুর বাড়ির ছাদে মোবাইল টাওয়ার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার পরেই পুরপ্রধানের কাছে আপত্তি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। তার পরে বেশ কিছু দিন কাজ বন্ধ থাকে। কিন্তু ২০১৪ সালের নভেম্বরে ফের কাজ শুরু হলে তাঁরা আপত্তি জানান। তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত গুহবিশ্বাস-সহ বেশ কয়েকজন সে বছরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

প্রায় তিন বছর ধরে মামলা চলার পরে এ বছর ৩০ মার্চ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বর্ধমান পুরসভাকে সরেজমিন তদন্ত করে দু’মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন। ঠিক দু’মাসের মাথায় ৩০ মে বর্ধমান পুরসভার বোর্ডের সভায় ওই টাওয়ার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিযোগকারীদের আইনজীবী রাজর্ষি হালদার পুরসভাকে চিঠি ২১ অগস্ট চিঠি দিয়ে জানান, নির্দেশের পরেও প্রায় আড়াই মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু পুরসভার নির্দেশ মতো টাওয়ার ভাঙা পড়েনি। মামলাকারী বাসিন্দাদের এখন অভিযোগ, ‘‘টাওয়ার ভাঙার আগেই নতুন টাওয়ার বসানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে! সে ব্যাপারেও পুরসভায় চিঠি দিয়েছি আমরা।’’

স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মস সেলিমেরও প্রশ্ন, ‘‘ওই টাওয়ার ভাঙা হল না কেন?’’ পুরপ্রধান বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে ওই টাওয়ার ভাঙার জন্য বাড়ির মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা না করায় পুরসভাই ওই টাওয়ার ভাঙার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার মধ্যেই আবার সুব্রতবাবু নতুন টাওয়ার বসাচ্ছেন, সেই ছবি সংগ্রহ করেছি। সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mobile Tower Broken
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE