বাজারে প্লাস্টিকে ভরে জিনিস দেওয়া চলছেই। নিজস্ব চিত্র।
আর সচেতনতার উপরে ভরসা নয়। প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে এ বার আইনগত পদক্ষেপে করার কথা ভাবছে দুর্গাপুর পুরসভা। মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কালীপুজোর পরে অভিযান শুরু হবে। নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের প্যাকেট ব্যবহার করলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রেতাদের আর্থিক জরিমানা হবে।’’
চলতি ইংরেজি বছরের প্রথম দিন থেকে দুর্গাপুর শহরে বেআইনি প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে পুরসভা। প্লাস্টিকের প্যাকেটের বিকল্প হিসেবে বিক্রেতাদের কাগজের ঠোঙা দেওয়া এবং ক্রেতাদের সঙ্গে করে ব্যাগ আনার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাঁচশো টাকা এবং ক্রেতাদের কাছে পঞ্চাশ টাকা হারে জরিমানা আদায় করা হবে বলে পুরসভার তরফে লিফলেট বিলি করে জানানো হয়। প্লাস্টিকের প্যাকেট নর্দমার মুখে আটকানোয় বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে যায় শহরের বহু এলাকা। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা জানান, প্লাস্টিক মাটিতে মেশে না। পোড়ালে বিপজ্জনক রাসায়নিক বাতাসে মেশে। তাই শহরে ৪০ মাইক্রনের কম পুরু এবং আকারে ১৬x১২ ইঞ্চির ছোট প্লাস্টিকের প্যাকেটের ব্যবহার, উত্পাদন ও মজুত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পুরসভা।
তবে প্রথমেই আইনানুগ ব্যবস্থার পক্ষে ছিলেন না মেয়র অপূর্ববাবু। তিনি জানান, বরাবরের জন্য প্লাস্টিক-মুক্ত শহর গড়তে গেলে অভিযানের থেকে সচেতনতায় বেশি ফল মিলবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা চাই, প্লাস্টিক ব্যবহার না করার অভ্যাস গড়ে উঠুক শহরবাসীর মধ্যে। সচেতনতা তৈরির জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। তার পরে অভিযানের কথা ভাবা হবে।’’
মঙ্গলবার পুরসভা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, ব্যবসায়ী সংগঠন-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে অবশ্য ঠিক হয়েছে, সচেতনতার জন্য অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। এ বার অভিযান চালাতে হবে। শুধু প্লাস্টিক ব্যবহার নয়, প্লাস্টিক উৎপাদন ও মজুতদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দু’টি দল গড়া হয়েছে। কালীপুজোর পর থেকে অভিযান শুরু হবে বাজারে-বাজারে। মেয়র বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার করে হাতেনাতে ধরা পড়লে ক্রেতা ও বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মিত নজরদারি চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy