Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Toll tax

ফাসট্যাগ না থাকলেই দিতে হবে দ্বিগুণ টোল ট্যাক্স, তৎপরতার সঙ্গে চলছে কাজ

ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পালসিট টোল প্লাজায় ফাসট্যাগের প্রচারে কর্মীরা লিফলেট বিলি করছেন। পাশাপাশি ব্যানার ফেস্টুন হোর্ডিং দিয়ে প্রচার জোরদার করা হয়েছে।

পালসিট টোল প্লাজা। নিজস্ব চিত্র।

পালসিট টোল প্লাজা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:৫৪
Share: Save:

টোল প্লাজাগুলিকে যানজট মুক্ত করতে সব গাড়িতে ‘ফাসট্যাগ’ চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রচার হলেও বহু গাড়ি এই ফাসট্যাগ সিস্টেমের আওতায় আসেনি। ফলে টোল প্লাজায় যানজট কমানো সম্ভব হচ্ছে না। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পালসিটের মতো টোল প্লাজায় তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে সব গাড়িকে ফাসট্যাগের আওতায় আনার। আগেই ঘোষণা হয়েছিল, ১ জানুয়ারি থেকে ফাসট্যাগ না থাকলে দ্বিগুণ টোল ট্যাক্স দিতে হবে। সেই সময়সীমা মাসখানেক বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।

হাইওয়েতে টোল প্লাজায় যাতে গাড়িকে দাঁড়িয়ে নগদে টোল ট্যাক্স দিতে না হয় তার জন্য রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তি যুক্ত ফাসট্যাগ টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়া। কিন্তু বেশির ভাগ গাড়িতে এই সিস্টেম থাকলেও এখনও অনেকে এর আওতার বাইরে। তাই দ্রুত সেই সব গাড়িতে ফাসট্যাগ যুক্ত করার কাজ চলছে। সেই সঙ্গে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, যে গাড়িতে এই ব্যবস্থা থাকবে না তাদের দ্বিগুণ টোল ট্যাক্স দিতে হবে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ির মালিকরা এই ব্যবস্থায় আসছেন। সেই সঙ্গে ফাসট্যাগের সুবিধাগুলি নিয়ে প্রচার চলছে টোল প্লাজাগুলিতে। সেই ছবিই দেখা গেল পালসিটেও।

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্গাপুরের বাঁশকোপা, পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পালসিট ও হুগলির ডানকুনিতে ৩টি টোল প্লাজা রয়েছে। বছর দেড়েক আগে এগুলিতে ফাসট্যাগ ব্যবস্থা চালু হয়।। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে ফাসট্যাগ চালু করা হয়, সেই যানজট কমানো যাচ্ছিল না। প্রতিদিনই টোল প্লাজায় যানজট হচ্ছে, ২ দিকেই সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে। সেই ছবিটাই বদলানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পালসিট টোল প্লাজায় ফাসট্যাগের প্রচারে কর্মীরা লিফলেট বিলি করছেন। পাশাপাশি ব্যানার ফেস্টুন হোর্ডিং দিয়ে প্রচার জোরদার করা হয়েছে।

পালসিট টোল প্লাজায় গাড়িতে ফাসট্যাগ লাগানো হচ্ছে অনস্পট। এই টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক তমালচন্দ্র চৌধুরী বলেন, “প্রচারে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। টোল প্লাজায় যানজট মুক্ত করার জন্যই এই নয়া আইন চালু করা হচ্ছে। একেবারে ১০০ শতাংশ ফাসট্যাগের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মোটামুটি ৭০ শতাংশ যানবাহনে ফাসট্যাগ লাগানো হয়ে গিয়েছে। বাকি গাড়ি এর আওতায় চলে এলে হাইওয়েতে গাতি বেড়ে যাবে। টোল দেওয়ার জন্য আর দাঁড়াতে হবে না।”

কলকাতার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন খান তাঁর পরিবার নিয়ে বাঁকুড়া যাওয়ার পথে পালসিট টোল প্লাজায় ফাসট্যাগ করিয়ে নেন। তিনি বলেন, “এর ফলে যাত্রাপথে আর প্লাজায় দাঁড়িয়ে টোল দিতে হবে না। সময় অনেক বেঁচে যাবে।”

তবে একেবার ১০০ শতাংশ ফাসট্যাগ চালু হলেও কি টোল প্লাজাগুলিতে যানজট বন্ধ হয়ে যাবে? কারণ টোল প্লাজার মেশিনপত্র এখনও কয়েক বছরের পুরনো। তাই সেই মেশিন যদি নতুন সিস্টেমের সঙ্গে প্রত্যাশিত মাত্রায় কাজ না করে তবে কাঙ্ক্ষিত গতি মিলবে না। টোল প্লাজার কর্মীরাও সে কথা বলছেন, সব মেশিন আধুনিক না করলে গোটা সিস্টেমে গতি আসবে না। বরং উল্টে সমস্যা বাড়তে পারে। এই বিষয়ে পালসিট টোল প্লাজার আধিকারিক তমাল বলেন, “সব মেশিনই উন্নত করা হবে। তার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE