এত দিন তাঁরা ছিলেন শিল্প-সমৃদ্ধ মহকুমার অংশ। জেলা ভাগের পরে পড়ছেন গ্রামীণ এলাকায়। বর্ধমান জেলা পূর্ব ও পশ্চিমে ভেঙে যাওয়ার মুখে কিছুটা ক্ষুণ্ণ গলসি ১ ব্লকের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ। বণিকসভা থেকে নানা রাজনৈতিক দল, অনেকেরই দাবি, শিল্পাঞ্চলের মধ্যে থাকলে হয়তো বেশি সুযোগ-সুবিধে মিলত। তবে ব্লকের বেশির ভাগ মানুষই চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকায় পূর্ব বর্ধমানে অর্ন্তভুক্তিতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও মনে করছেন এলাকাবাসীর একাংশ।
গলসি ১ ব্লকের কিছুটা বুদবুদ থানা, বাকিটা গলসি থানার অন্তর্গত। বুদবুদ বাজারের ব্যবসায়ীদের অনেকের দাবি, তাঁরা চেয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমানে থাকুক এই এলাকা। বুদবুদ বণিকসভার সভাপতি রতন সাহা জানান, নতুন জেলা শিল্পাঞ্চল হওয়ায় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেশি। তাই ব্যবসা প্রসারের সুযোগও অনেক পাওয়া যেত। তবে তিনি বলেন, ‘‘ব্লকে গ্রামের সংখ্যা বেশি। মানুষের প্রধান জীবিকা চাষাবাদ। তাই পূর্ব বর্ধমানে পড়লেও খুব সমস্যা হবে না।’’
বাসিন্দারা জানান, এত দিন নানা প্রয়োজনে তাঁরা দুর্গাপুরে যেতেন। যাতায়াতে সুবিধে ছিল। বুদবুদের বাসিন্দা মহম্মদ আকবর বলেন, ‘‘আদালতের কাজকর্মও হতো দুর্গাপুরে। নতুন জেলায় প্রথম দিকে একটু সমস্যা হতে পারে।’’ মানকরের বাসিন্দা সুকুমার পাল জানান, ব্রিটিশ আমলে বুদবুদ মহকুমা ছিল। জেলা ভাগের সময়ে বুদবুদকে ফের মহকুমা করা হলে সুবিধে হতো বলে তাঁর দাবি। বিজেপি নেতা নরেশ কোনারের বক্তব্য, ‘‘খামখেয়ালি ভাবে ভাগ করা হয়েছে। বুদবুদকে মহকুমা করার দাবিতে আন্দোলনে নামব।’’ তবে কৃষকসভার বর্ধমান জেলা সভাপতি আব্দুর রজ্জাক মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ছিল, গলসি ১ ব্লক গ্রামীণ এলাকায় রাখতে হবে। তা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy