Advertisement
১১ জুন ২০২৪
নিজস্ব সংবাদদাতা

সময় পার, তিন অঙ্গনওয়াড়িতে দেখা নেই কর্মীর

কোথাও বাড়ি নেই। কোথাও রান্নাঘর নেই। কোথাও সব থাকা সত্ত্বেও কর্মী সময়ে আসেন না। সমস্যার শেষ নেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে (আইসিডিএস)। শনিবার সকালে তেমন ছবিই দেখা গেল দুর্গাপুরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

তালা পড়ল এক কেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র।

তালা পড়ল এক কেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুর
শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৭
Share: Save:

কোথাও বাড়ি নেই। কোথাও রান্নাঘর নেই। কোথাও সব থাকা সত্ত্বেও কর্মী সময়ে আসেন না। সমস্যার শেষ নেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে (আইসিডিএস)। শনিবার সকালে তেমন ছবিই দেখা গেল দুর্গাপুরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

ওয়ার্ডের পাঁচটির মধ্যে তিনটি অঙ্গনওয়াড়িতেই কেন্দ্র খোলার নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাখানেক পরেও কর্মীর দেখা নেই। একটিতে রান্না শুরু করেছেন রাঁধুনি। শিশুরাও এসেছে। কিন্তু কর্মীর দেখা নেই। মহকুমাশাসকের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জমা পড়েছে। মহকুমাশাসকের অফিস সূত্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় আইসিডিএস কেন্দ্রের সংখ্যা ৯ হাজারের কিছু বেশি। শিশু ও প্রসূতিদের জন্য পরিপূরক পুষ্টিকর খাবার বিলি করা হয়ে থাকে কেন্দ্রগুলি থেকে। সাধারণত, খিচুড়ি ও ডিম দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন নেই। বহু জায়গায় কেন্দ্র চলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই।

দুর্গাপুরের বেশ কিছু আইসিডিএস কেন্দ্রের কাজকর্ম নিয়ে অভাব-অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে শহরের ৫ নম্বর বরো চেয়ারম্যান ধর্মেন্দ্র যাদব-সহ বেশ কয়েকজন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আইসিডিএস কেন্দ্রগুলি পরিদর্শনে যান। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলি খোলা থাকার কথা। প্রথমে তাঁরা যান কাদা রোড মোড়ের ৫৫ নম্বর কেন্দ্রে। অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আসেননি, ঘর তালাবন্ধ। কাদা রোডের ৫৬, ৫৮ নম্বর কেন্দ্রেও গিয়েও এক ছবি দেখা যায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে তিনটি কেন্দ্রেই বন্ধ তালার উপরে আরও একটি করে তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। অভিযোগ জানানো হয় প্রশাসনে। ৫৭ নম্বর কেন্দ্রটিতে গিয়ে দেখা যায়, রান্নার কর্মী রান্না শুরু করেছেন। কচিকাঁচারা ভিতরে হুল্লোড় করছে। কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর দেখা নেই। গ্যামন কলোনির ওড়িয়া পাড়ার আদর্শ শিশু শিক্ষা নিকেতনের পরিকাঠামো যথাযথ। কিন্তু তালা খোলেনি সকাল ৯টাতেও।

এ দিন পরিদর্শনকারী দলের সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শরবিন্দু (বিপ্লব) বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘বাসিন্দারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে নানা সময়ে নানা অভিযোগ করেন। এ দিন সে সবের সত্যতা ধরা পড়ল। এর ফলে শুধু শিশু নয়, প্রসূতিরাও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anganwadi Centre
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE