প্রতীকী ছবি।
ফের গুলি চলল আসানসোলের বুকে। আর তার জেরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। কুলটির শীতলপুরের কাছে তুলসী হেরে গ্রামে বুধবার সকালবেলা এই গুলিচালনার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পরেশ মারান্ডি নামে এক খনি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর দু'টি খুনের ঘটনা ঘটল আসানসোলের কুলটিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, গ্রামের পাশেই একটি পরিত্যক্ত জায়গা আছে। আর সেই পরিত্যক্ত জায়গাতেই গড়ে উঠেছে একটি অস্থায়ী দোকান। এই অস্থায়ী দোকানে দেশি মদের কারবার চলত বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সেই দোকানের সামনে পরেশকে গুলি করে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃতদেহ ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা গুলির আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে এলে পরেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এর পরেই তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কুলটি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুরোনো শত্রুতা, না কি অন্য কোনও কারণে খুন, তা জানতেও তৎপর হয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার আসানসোলের হীরাপুর থানার অন্তর্গত রহমত নগরে গলা কেটে খুন করা হয় ৪৮ বছরের এক ব্যক্তিকে। সেই দিন সকাল দশটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম ফজল ইমাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহম্মদ সোনু নামে এক ব্যক্তি ফজলের গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই হীরাপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy